ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আউট সোর্সিংয়ে জনবল নিয়োগ, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তথ্য অধিদপ্তরের একটি প্রজেক্টে নিয়োগ, ব্রিটিশ আমিরিকান টোব্যাকে কোম্পানিতে নিয়োগ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির কথা বলে ঝিনাইদহের বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিল্লাল হোসেন লিটন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। বিল্লাল হোসেন লিটন ঝিনাইদহ পৌর এলাকার কাঞ্চনপুরের (ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন) শফি ড্রাইভারের ছেলে। এর মধ্যে শহরের ৩ নং পানির ট্যাঙ্ক মোঃ আজম মন্ডল, পিতা মৃত শামসুল ইসলাম মন্ডল নামের এক ব্যক্তি ঝিনাইদহ চিফ ডুডিশিয়াল আদালতে ১ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির মামলা করেছেন। যার নং ঝিসিআর-২৮৪/২০। এই মামলায় বিজ্ঞা আদালত লিটনের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আজম প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক একটি প্রোজেক্টে তার বোন ও ২ চাচাতো বোনকে চাকরি দেওয়ার নামে সাড়ে ১১ লাখ টাকা নেয় লিটন। কিন্তু চাকরি দিতে পারেনি। এই ঘটনার পরে শালিস করে ৫ লাখ টাকার চেক ও কিছু টাকা নগদ দিলেও প্রায় ৩ লাখের মত টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার হচ্ছে না। আমি ইতঃমধ্যে একটি চেক ডিজঅনার হওয়ায় মামলা করেছি কোর্টে। অন্যদিকে সদর উপজেলার পরমথুরাপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে সিদ্দিকুর রহমানের অভিযোগ, তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার নামে ১ লাখ টাকা নেয় লিটন। এই বিষয়ে দফায় দফায় শালিস হলে লিটন টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও টাকা ফেরত দিতে বিভিন্ন তালবাহনা ও মামলার হুমকি দেয় লিটন। মোঃ লিটন হোসেন ওরফে বিল্লাল হোসেন লিটন ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক এমপি মশিউর রহমানের খুব ঘনিষ্ট পরিচিত ছিল ২০০১ থেকে ২০০৬। এই সময়ে শহরে চাঁদাবাজি,ছিনতাই,ধর্ষণ,টেন্ডার বাণিজ্য ও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে লিটন। ২০০৪ সালে শহরের বনানী পাড়ার ভাড়াটিয়া নজরুল ইসলামের মেয়ে (‘ত’ অদ্যাক্ষরযুক্ত) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয় লিটনের নামে। এর পর ৩নং পানির ট্যাঙ্ক পাড়ার মনিছুর রহমান কারুর সৎ মেয়ে সোহেলী খাতুনকে বিয়ে করে লিটন। মনিছুর রহমান কারুর স্ত্রী খালেদা খানম ঝিনাইদহ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনের এমপি নির্বাচিত হয় ২০১৯ সালে। এর পর থেকে লিটন শাশড়ির পাওয়ারে আবার বেপরোয়া হয়ে ওঠে। জানাগেছে, খালেদা খানম লিটন হোসেনের মাদকাসক্তি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে জানতে পেরে তার মেয়ের সাথে এ পর্যন্ত ৫ বার তালাক ও ৬ বার বিয়ে করিয়েছেন নিজে উপস্থিত থেকে। বর্তমানে মামলার কারণে আবার সাবেক শাশড়ির ছত্রছায়ায় উঠেছে বলে জানাগেছে। সিদ্দিকুর রহমান ও মোঃ আজম মন্ডলের অভিযোগ শাশড়ি এমপি হওয়ায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়ে বা মামলা করেও কোন সুবিধা পাচ্ছেন না তারা। ঝিনাইদহের ব্যাপারীপাড়া বিট পুলিশিংয়ের ইনচার্জ এসআই খাইরুজ্জামান জানান, বিল্লাল হোসেন লিটন নামের এক ব্যক্তি একটি সিআর মামলায় জামিনের রিকল জমা দিয়ে রেখেছেন। এই বিষয়ে ভুক্তভোগি লিটনের মোবাইল নং ০১৭১৮৪৫৫৯৪৬ এ ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। কাঞ্চনপুরের বাড়ি খোঁজ নিলেও করেও তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পারেনি।
Leave a Reply