সুমন খান:
রাজধানীর মিরপুরের শাহআলী থানা প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিএনপির আহবায়ক কাউসার আহমেদ পাপ্পুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এবিএমএ রাজ্জাক স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এই বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে ‘দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৯ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে আপনাকে (পাপ্পু) কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। আপনি কারণ দর্শানোর নোটিশ যে জবাব দিয়েছেন তা সন্তোষজনক নয়। সুতরাং আপনাকে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হয়। আওয়ামী লীগের দোসর মিথ্যা বানোয়াট এবং তথ্যভিতেহীন তাকে মিথ্যা ও বানো য়াট রটিয়ে তার বিরুদ্ধে মানসম্মান নষ্ট করেন। সবকিছু জল্পনা কল্পনা অবসান ঘটিয়ে , মিরপুর শাহ আলী থানার বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আহ্বায়ক , কাউসার আহমেদ পাপ্পু।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক বলেন, পাপ্পুরকে আবারো পুনরায় কমিটিতে বহাল করা হয়েছে । মিরপুর শাহ আলী থানার সকল বিএনপির অঙ্গ সংগঠন তাকে আবারও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করেন। শুধু তাই নয় এবং তারা প্রতিটি অঙ্গ সংগঠনের লোকজন এবার মিষ্টি বরণ করেন। শাহ আলী থানা প্রতিটি অলিতে গলিতে আনন্দ মিছিল করেন, আমাদের নেতা আমাদেরই মাঝে আছেন এবং থাকবেন। যারা আওয়ামী লীগের দোসর মিথ্যা ভিত্তিহীন ও ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে হাতাহাতি করেছে আজ তারা কোথায়। আপুরা এলাকার জনগণ দেখতেই তো পারছেন আমাদের নেতা আমাদের মাঝে ঠিকই আছেন আর যারা আওয়ামী লীগের দোসর তাদের পতন হয়েছে এটাই আল্লাহর বিচার।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা অনেকেই মনে করছেন, সামনে আপনাদের জন্য ফাঁকা। বিশ্বাস করুন, আপনাদের সামনে অসম্ভব শক্তিশালী অদৃশ্য দেয়াল অপেক্ষা করছে, যেটি ভেদ করে যেতে খুব কষ্ট হবে। কাজেই কেয়ারফুল, এখন থেকেই সাবধান হতে হবে। জনগণের কাছে যান, জনগণের আস্থা অর্জন করুন। অবশ্যই জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ আমাদের করতে হবে। জনগণ যা চায়, তার বাইরে গেলে আপনারা টিকতে পারবেন না।
সেই ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে,
পাপ্পু আহমেদ বলেন,বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্যে আপনারা বলেন, জনগণ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। বিএনপি সেই রকম একটি দল, দেশের মানুষ যাকে আস্থায় রাখে। এখানে বড় একটা কিন্তু আছে। জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা আপনাকে ধরে রাখতে হবে। বিশ্বাস ধরে রাখার দায়িত্ব জনগণের না, দায়িত্ব আপনার। আপনার চলনে-বলনে, ওঠা–বসায় জনগণ যে আস্থা ও বিশ্বাস আপনার ওপরে রেখেছে, সেটা ধরে রাখতে হবে। পরিবারের একজন সদস্যের দায়িত্ব যেভাবে পালন করেন, সেইভাবে।’
কাউসার আহমেদ পাপ্পু সে বলেন , আওয়ামী লীগের আমলে আমি হামলা, মামলা এবং জেল খেটেছি শুধু তাই নয় জিয়ার সৈনিক হিসেবে বুকে লালন করে আজও বেঁচে আছি। এখনো আমার উপর থেকে ষড়যন্ত্র চলছে আপনারা জানেন আমি মিরপুরবাসী শাহআলী থানার একজন সৎ সাহসী নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছি,
তিনি বলেন, 'জনগণের কথা বলার অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, ভোট প্রদানের অধিকারের জন্য আমাদের হাজারো সহকর্মী গুম হয়েছেন, খুন হয়েছে। ৬০ লাখের বেশি মিথ্যা মামলার স্বীকার হয়েছেন আমাদের নেতাকর্মী। আমরা এই যুদ্ধ করছি বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। কাজেই আমাদের যেকোনো মূল্যে এই অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে জনগণকে সচেতন করার মাধ্যমে।
'তাই আমরা একটি কথা বলছি ষড়যন্ত্র থেমে যায়নি। আপনারা নিশ্চয় গত কয়েকদিনের পত্রিকার, বিভিন্ন খবর অবগত। রাজনৈতিক নেতৃবিন্দ, আপনারা পোড় খাওয়া প্রত্যেকটি মানুষ। কাজেই আপনারা নিশ্চয় বুঝতে সক্ষম হচ্ছেন যে কোথাও কিছু একটা ষড়যন্ত্র চলছে। কাজেই জনগণকে সচেতন করতে হবে। জনগণের সাথে থাকতে থাকতে চাই ইনশাআল্লাহ জিয়াউর রহমান আদর্শ গড়া ও তারেক রহমানের আস্থাভাজন হিসাবে ও খালেদা জিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেশ গড়া অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই আসুন আমরা একসাথে কাঁধে কাঁধ মিলি য়ে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়ার হাতকে শক্তিশালী করি। দেশে বাঁচবে জাতি বাঁচবে এবং আমরা বাস্তব ইনশাআল্লাহ ।আমারাদের মত বিএনপির কর্মীদের গর্ব আমাদের একজন খালেদা জিয়া আছেন, আর আওয়ামী লীগের লজ্জা তাদের একজন স্বৈরাচারী হাসিনা ছিলো। দেশ ও দেশের মানুষের কথা ভেবে যে নেতা বিদেশে পাড়ি না দিয়ে, স্বৈরাচারের সাথে আপোষ না করে জেল-জুলুম বরণ করে নিয়েছিলেন তিনিই হলেন আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। পক্ষান্তরে যিনি লুটপাট করে নিজের ও পরিবারের আখের খুছিয়ে দেশের মানুষ তো দূরের কথা দলের কর্মীদের কথা না ভেবে পালিয়ে গেছেন তিনিই হলেন শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে স্বৈরাচার পতনের পর যারা লুটপাট করেছে তারা কখনো বিএনপি নেতাকর্মী হতে পারে না। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ-কেউ কোন প্রকার সহিংসতা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আপনারা দেখেছেন পাইকগাছাসহ সারা বাংলাদেশ বহু নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মনে রাখবেন বিএনপি শহীদ জিয়ার হাতে গড়া সংগঠন এখানে কোন লুটেরার জায়গা হবে না। আপনারা সর্তক থাকবেন কেউ যেন কোন প্রকার সহিংসতা ঘটাতে না পারে। যে কোন প্রয়োজনে আপনারা আমাদেরকে জানাবেন আমরা জাতীয়তাবাদি শক্তি অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সকল ধর্মের মানুষের পাশে থাকবো এটা আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশ।