দুই চোর কারবারি দুইটি মোটরসাইকেল সহ গ্রেফতার
মোঃ শফিকুল ইসলাম বিশেষ প্রতিনিধি মাগুরা:
মাগুরার মহাম্মদপুরের বেথুলিয়া মধ্যপাড়া গ্রাম থেকে গত ৩১/৭/২০২৩ইং দিবাগত রাত অনুমান ৮:৩০ঘটিকার সময় আমি মোহাম্মদ এস এম রোকনুজ্জামান বেঙ্গল বিস্কুট কোম্পানিতে এস আর হিসাবে মহাম্মদপুর থানা অধীনের বেথুলিয়া মধ্যপাড়া গ্রামস্থ মোল্লা এন্টারপ্রাইজ ডিলারের অধীনে চাকরি করি। গত ৩১/৭/২০২৩ইং তারিখে আমার কোম্পানির অর্ডার কেটে অর্ডার জমা দেয়ার জন্য মোল্লা এন্টারপ্রাইজ ডিলার পয়েন্টের সামনে আমার ব্যবহারিত লাল রংয়ের হোন্ডা সাইন এস ১২৫ সিসি মোটরসাইকেল যাহার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার খুলনা মেট্রো হ-১৪০৬১৮ ইঞ্জিন নাম্বার জি সি৭২ইজি১০১০৪০৪ চ্যাসিস নাম্বার পিএসওসি ৭২৯০এল এইচ ১০৮১৩৭ এই গাড়িটির মূল্য অনুমান ১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। মোটরসাইকেলটি ডিলারের সামনে রেখে আমার কাঁটা অর্ডার জমা দিয়ে বেরিয়ে এসে দেখি আমার মোটরসাইকেলটি নাই আমি ডাক চিৎকার দিলে ডিলারের মালিক খয়ের মোল্লা সহ আশেপাশের লোকজন আসে। আমি তাদেরকে আমার মোটরসাইকেলটি চুরি হওয়ার বিষয়টি জানালি আমরা সকলে খোজা খুঁজি শুরু করি। এক পর্যায়ে ৪/৭/২০২৩ইং তারিখে আনুমানিক ৭ টা ৩০ মিনিট ঘটিকায় সময় উক্ত আসামিদের আমার চুরি যাওয়া মোটরসাইকেল সহ মহাম্মদপুর থানাধীন রাজাপুর ইউনিয়নের রাড়ী খালি ঈদগাহের সামনে পাকা রাস্তার উপর দেখতে পাই। আমি আমার সাথে থাকা সাক্ষী উজ্জ্বল, আজিম শেখ, মিরাজ মিয়া,ধলা মিয়া ও এলাকার লোকজনসহ চোর আসামি এক নম্বর মিঠু ফকির ২০ পিতা,মৃত ফারুক ফকির, গ্রাম চরচাপাতলা। দ্বিতীয় আসামি ইমরান ওরফে ইমদাদুল ২৫ পিতা, লাকু মোল্লা গ্রাম বেথুলিয়া। এদেরকে হাতেনাতে আটক করি অপর আসামি একজন বরকত ২০ পিতা, মোমিন মোল্লা,গ্রাম বেথুলিয়া মধ্যপাড়া,সে পালিয়ে যায়। আমরা ও এলাকার লোকজন চোরদের কে ধরে মহাম্মদপুর থানায় ফোন দিলে মহাম্মদপুর থানা পুলিশ এসে দুটো মোটরসাইকেল ও দুইজন চোরকে থানায় নিয়ে আসে।
মহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ বোরহানুল ইসলাম জানান,আমরা মোটরসাইকেল ও চোর সহ ধরে থানায় নিয়ে এসেছি। এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা নম্বর ০৭তাং৫/৮/২০২৩ ধারা ৩৭৯৪১১ রুজু করা হয়েছে। উক্ত আসামিদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি আরো জানান পালিয়ে যাওয়া একজন আসামিকে পুলিশ ধরার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।