দোহারে বালু ব্যবসায়ীদের অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বালু উত্তোলন ও সরবরাহে অতিষ্ট পথচারীরা। বিশেষ করে উপজেলার কার্তিকপুর বাজারের ব্যবসয়ীসহ আশে পাশের বাসিন্দাদের সমস্যার হচ্ছে খোলা ট্রাকে বালু সরবরাহের কারনে।
কার্তিকপুর বাজারের কয়েকজন পথচারী বলেন, আমরা এই সড়কে চলাচলে সবসময় নিরাপত্তাহীনতায়। প্রতিদিন অসংখ্য খোলা ট্রাকে বালু ঢেকে না নেয়ার কারনে রাস্তায় চলাচলে অনেক অসুবিধা হয়। বাতাসে বালু উড়ে চোখে মুখে যায়। স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে চলছে আমাদের।
কার্তিকপুর বাজারের ব্যবসায়ী রাজ্জাক মোল্লা বলেন, প্রতিদিন প্রায় পাঁচশতাধিকের অধিকবার ট্রাক যাতায়াত করে বালু নিয়ে। ট্রাকের ধুলায় এমনিতেই দোকানের জিনিসপত্র ময়লা হয়ে যায়, তার উপর তারা বালুগুলো না ঢাকার কারনে অতিষ্ট হয়ে পরছি আমরা। বাজারে ব্যাবসা করা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধূলা বালুর কারনে।
ফল ব্যাবসায়ী অভি সরকার বলেন, ট্রাকের বালুতে ফল দেখতে ময়লা দেখায়। যার কারনে বেচা কেনা কমে গেছে। দিন ভরে শুধু ধোয়া মুছা করতে হয়। বালু যদি ঢেকে নিতো তাহলে কিছুটা হলেও ধূলা বালি কমতো।
আরেক পথচারী আক্তারুজ্জামান বলেন, গরমের দিনে ধুলা বালি এমনিতেই বেশি তারপর ট্রাকের অতিরিক্ত ধূলার কারনে আমাদের হাঁপানি সহ বিভিন্ন চর্ম রোগের সংক্রামন বাড়ছে। দিন দিন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। প্রশাসন যদি বালুবাহি ট্রাক গুলোকে দিনে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাতে চলাচলের জন্য বলতো তাহলে সাধারণ মানুষের অনেক বড় উপকার হতো।
প্রতিবেদক রবিবার সকালে সরজমিনে দাড়িয়ে থেকে ট্রাকে পর্দাবিহীন বালু বহনের সত্যতা খুঁজে পায়।
রবিবার কার্তিকপুর বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাজার সহ রাস্তার পাশে বসে হাট। বালুর ট্রাকের কারনে মাঝে মাঝে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ জ্যামের। প্রতি ঘন্টায় ৫০টির অধিক ট্রাক যাতায়াত করে থাকে মৈনট কার্তিকপুর রাস্তায়। দিনে পাঁচশর অধিক যাতায়াত করে থাকে।
সাধারণ মানুষ সহ ব্যাবসায়ীদের প্রশাসনের নিকট আবেদন জানান বালুর ট্রাকগুলো যেনো রাতে চলাচল করে।
এবিষয়ে চর মাহমুদপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. জামাল হোসেন বলেন, আমি কয়েকদিন ধরে এখানে যোগদান করেছি। বিষয়টি আমি অবশ্যই দেখবো এবং ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Leave a Reply