ঢাকার দোহারের মাহমুদপুর ইউনিয়নের একটি রাস্তা সংস্কারে নামে জন দূর্ভোগের অভিযোগ পাওয়া যায়।
ইউনিয়নের চরবৈতা মসজিদের সামনে থেকে শুরু করে নারায়নপুর মাদ্রাসা হয়ে চেয়ারম্যান বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তাটির সংস্কারে অনিয়ম করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স কফিল এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স ইসরাত বিল্ডার্স(জেভি)। আড়াই বছরেও সংস্কার করেনি রাস্তাটি। আগের থেকে আরও চলাচলের অযোগ্য করে রেখেছে রাস্তাটিকে।
স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর আগে রাস্তাটি পুনঃ সংস্কারের জন্য পুরো রাস্তাটির পিচ ভেঙ্গে তুলে ফেলে। তারপর ইটের খোয়া বিছিয়েই কাজ বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। এ পর্যন্ত রাস্তাটিতে আর কোন কাজ করা হয় নি।
আরো অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদার সর্বোচ্চ নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করেছে রাস্তাটিতে। গাড়ির চাকায় ধূলা হয়ে সব ইট এখন আশে পাশের মানুষের ঘরে, বাড়ির চালে ও গাছের ডালে ডালে আশ্রয় নিয়েছে।
স্থানীয় কয়েকজন নারী জানান, রাস্তার ধূলার জন্য বাড়িতে থাকা এখন কষ্টদায়ক হয়ে দাড়িয়েছে। ঘরের জিনিসপত্র প্রতিদিন মুছে পরিষ্কার করেও রাখা যাচ্ছে না। জামা কাপড় রোদ দিলে আরও বেশি ময়লা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা থেকে আসা ধূলোর কারনে।
স্থানীয় মাসুদ নামে একজন জানান, রাস্তা সংস্কারের নামে আমাদের আরো দূর্ভোগে ফেলেছে। মাত্র দেড় কিলোমিটারের মতো রাস্তা আড়াই বছরেও কাজ সম্পন্ন করেনি। রাস্তাটিতে ইটের খোয়া বিছিয়ে রেখেই কাজ বন্ধ রেখেছে দুই বছর যাবৎ।
মাসুম খা নামে একজন বলেন, রাস্তাটির কাজ বন্ধের কারনে আমাদের দূর্ভোগের শেষ নেই। বাড়ি ঘরে ধূলার কারনে অতিষ্ট জনজীবন। চলাচলেও সমস্যা অনেক।
স্থানীয় দোকানদার রুবেল বলেন, রাস্তার ধূলার কারনে দোকান সবসময় ময়লা হয়ে থাকছে। দোকানের জিনিসপত্রে ধূলা পরে ময়লা দেখার কারনে কেউ কিনতে চাচ্ছে না। এভাবে এতোদিন ধরে রাস্তাটি খনন করে রেখে দেওয়ায় চরম দূর্ভোগে পরেছি আমরা। চলাচলেও কষ্ট হচ্ছে আমাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা রায়হান জানান, ঠিকাদারের খাম খেয়ালির জন্য কষ্টে পরেছি আমরা। ২০ টাকার রিকশা ভাড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা দিতে হচ্ছে শুধু রাস্তার জন্য। আমরা দ্রুত এই রাস্তার সংস্কার চাই।
এদিকে ঠিকাদার শান্ত বলেন, সরকারের ফান্ডে টাকা নাই। আমাদের ঠিকমতো টাকা দেয় না, তাই কাজও করতে পারিনা। আবার করোনা আসলো। কিছুদিনের মধ্যে রাস্তাটির কাজ শুরু করবো।
এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী হানিফ মোহাম্মদ মুর্শীদী বলেন, কাজ শেষ না হলে তো টাকা পরিশোধ করার কোন নিয়ম নেই। কাজ বুঝে পাওয়ার পরই টাকা সম্পূর্ণ পরিশোধ করতে পারবো। তা ছাড়া কাজটি সম্পূর্ণ করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আরো সময় নিয়েছে।