ধামইরহাটে বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার প্রভাষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ

নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার ইংলিশ প্রভাষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ,
বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খোদাদাদ বলেন, ইংলিশ প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ মাদ্রাসায় নিয়মিত আসে না আবার অনেক সময় যদিও আসে গাড়ি থেকে নেমে হাতের সিগারেট ধরে খাওয়ার পরে আবার গাড়ি নিয়ে চলে যান । তিনি শুধু তাই না আমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও আমার সভাপতি মহোদয়কেও মূল্যায়ন করে না তিনি বিভিন্ন রাজনীতি কথা বলে সিন্ডিকেট বাহিনী তৈরি করেছেন, আমরা কিছু বললেই আমাদের নামে মিথ্যা বানোয়াট প্রচার প্রচারণা করে বেড়ায়, পরপর দুইবার তাকে শোকজ এর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে কিন্তু আবুল কালাম আজ কোন জবাব দিতে পারে নাই । আমি অধ্যক্ষ আমাকে মারধর করেছে তিনি এবং সভাপতিকে অকথ্য ভাষায় বিভিন্ন গালিগালাজ করেছে । তিনি শিক্ষক জগতের মধ্যে পড়ে না ক্যাডারের মত তার চলাফেরা করে ।
এ বিষয়ে বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার সহ সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, আবুল কালাম আজাদ আমাদের ম্যানেজমেন্ট কমিটিকেও মানে না বিভিন্ন সময় ১০ দিন ১৫ দিন পরে আসে স্বাক্ষর করতেন হাজিরা খাতায় কিছু বললেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সিন্ডিকেট বাহিনীকে লাগিয়ে দেয় সভাপতিকে তো মানেই না আমাদেরকেও মানে না এই আবুল কালাম আজাদ উনি একজন শিক্ষক নামের কলঙ্ক আমরা এর বিচার চাই।
এলাকার স্থানীয় রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার ইংলিশ প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ কোন রাজনীতি সঙ্গে জড়িত নাই । সে যদি দলের পরিচয় অথবা কোন রাজনৈতিক নেতার পরিচয় দেয় তাহলে ভুল করবে তিনি তবে তিনি খুব একটি ভালো মানুষ নয় আমরা সেটা জানি বিভিন্ন সময় মানুষের নামে বিভিন্ন জায়গায় ভয়-ভীতি এবং সমালোচনায় নিয়ে ব্যস্ত থাকে, সর্বসময় আবুল কালাম আজাদ যদি ভালো হতে পারে তাহলে তাকে প্রতিষ্ঠানের রাখা হোক আর না হলে তাকে বহিষ্কার করা হোক আমাদের এলাকাবাসীর এটাই দাবি এ বিষয়ে প্রভাষক আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সাংবাদিকদের দেখে হারিয়ে যায় ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ করেন না তিনি।
এ বিষয়ে বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সভাপতি জনাব শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আবুল কালাম আজাদ শিক্ষক হিসেবে ভালো না তিনি আমাকে ঘুষ দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানোর কারণে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।