স্টাফ রিপোর্টারঃ
১৭/০৭/২০২২ইংপারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাতে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের মেরাতুলি গ্রামের বাহার মিয়ার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
নিহত শাহ আলম মিয়া (৪২) ওই গ্রামের মালেক সর্দারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মেরাতুলি গ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে বাহার মিয়ার পরিবারের একটি ঘরোয়া ঝগড়ার ভিডিও ধারণ করেন একই বাড়ির যুবক সফর মিয়ার ছেলে আরাফাত, ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিলে এ নিয়ে শুক্রবার বাহার মিয়া ও রিফাতের মধ্যে ঝগড়া হয়। বিষয়টি বাড়ির লোকজন ঘরোয়াভাবে মিমাংসা করার জন্য শনিবার রাতে জাহের মিয়ার বাড়িতে শালিসি বসে, ভিডিও ধারণকারী আরাফাত ও জিয়া নামে একজন শালিসে না আসায় উপস্থিত লোকজন এর কারণ জিজ্ঞেস করলে উত্তেজনা দেখা দেয়, এ সময় সফর মিয়ার পরিবারের লোকজন সভায় উপস্থিত লোকজনের ওপর মরিচের গুড়া ছিটিয়ে দেয়। সফর মিয়া, সাঈদুল, ছুট্টু, আরাফাতসহ আরো কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শালিসি বৈঠকে এলোপাথাড়ি হামলা চালায়, এ সময় হামিদ মিয়ার ছেলে সাইদুলের হাতে থাকা বল্লম দিয়ে শাহ আলমের চোখে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শহরের নিউ ল্যাব এইড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে মধ্যরাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই তিনি মারা যান। ওই হামলায় মাহবুব, জিহাদ, আমির হোসেনসহ পাঁচ থেকে ছয়জন আহত হয়েছে।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রশিদ জানান, সংবাদ পেয়ে রাত থেকেই ঘটনাস্থলে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ আমরা ঘটনাস্থলে আছি। ওই ঘটনায় সাইদুলের পিতা হামিদ মিয়াসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের আটক করতে অভিযান চলছে।