শিরোনাম :
জেলা পর্যায়ে গুণী শিক্ষক হলেন সৈয়দপুরের ফাতেমা ফারিয়ার সম্পাদক-সভাপতি প্রয়াত সিরাজুল ইসলাম স্মরণে স্মরণ সভা,মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের মাসিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জের খুদে ফুটবলার জিসানের পাশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আশুগঞ্জে ৪৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ০১ জন মাদক কারবারী গ্রেফতার। মনপুরায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানি করার অভিযোগ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় সিএনজি চালকসহ (২দুই)জন নিহত । এসএম তরিকুল ইসলাম ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিকদের মিলনমেলায় রাজশাহী বরেন্দ্র প্রেসক্লাবের বর্ষপূর্তি উদযাপন নবীন প্রজন্মই আগামী দিনের রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবে- কফিল উদ্দিন আহমেদ

নবীনগরে বিভিন্ন কাগজ দরপত্রর গুটি বদল করতে গিয়ে ধরা খেল প্রকৌশলী

স্টাফ রিপোর্টার বাহার,,
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২২ মার্চ, ২০২১
  • ৩৬৩ বার পঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বিভিন্ন কাজের দরপত্র লটারি করার সময় উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার গুটি বদল করার অভিযোগ উঠেছে। এক ঠিকাদার হাতেনাতে উপজেলা প্রকৌশলীর এই অনিয়ম ধরে ফেললে অন্যান্য ঠিকাদাররা বিক্ষোভ করে লটারি বয়কট করেন।

রোববার (২১ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই ঘটনা ঘটে।

লটারিতে অংশ নেয়া ঠিকাদারদের ভাষ্য, চলতি বছরের প্রথম দিকে নবীনগর উপজেলা প্রকৌশল থেকে ১৫টি প্যাকেজে সড়ক সংস্কার, ঘাটলা নির্মাণ ও কালভার্ট নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এই কাজের দরপত্র গত ১ ফেব্রুয়ারি লটারির মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাছাই করার কথা ছিল। তা পিছিয়ে রোববার (২১ মার্চ) বিকেলে উপজেলা মিলনায়তনে লটারি শুরু হয়। লটারির প্রথমেই উপজেলা চেয়ারম্যান মুনিরুজ্জামান একটি প্যাকেজ চাইলে ঠিকাদাররা সম্মতি দেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একরামুল সিদ্দিক, উপজেলা চেয়ারম্যান মুনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের উপস্থিততে লটারি শুরু হয়ে কয়েকটি প্যাকেজে ঠিকাদার নির্ধারিত হয়। এর কিছুক্ষণ পর লটারির একটি গুটি ভেতর থেকে না তুলে পকেট থেকে বের করে লুকিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের হাতে দেন। নুরুল ইসলাম লটারির র‍্যান্ডমাইজড গোলক থেকে না তুলে ওই গুটিটির ঠিকাদারের নম্বর প্রকাশ করতে গেলে উপস্থিত ঠিকাদাররা প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন।

তারা দরপত্রের লটারির স্থান থেকে বেরিয়ে আসেন এবং লটারি বয়কট করেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনওর হস্তক্ষেপে ওই গুটির নম্বরটি বাতিল করে পুনরায় লটারি শুরু করা হয়। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহর থেকে যাওয়া ঠিকাদাররা লটারিতে আর অংশ নেননি।

লটারিতে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদার তোফায়েল আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন বাহারসহ আরও কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা প্রকৌশলী ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা যোগসাজশে সব অপকর্ম করেন। তার প্রমাণ হাতেনাতে পাওয়া গেল। তারা তাদের পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিতে এসব অপকর্ম করেন। এর আগেও তারা এমনভাবে অন্য ঠিকাদারদের ঠকিয়েছেন। আমরা এর নিন্দা জানিয়ে আজকে লটারি বয়কট করেছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমি টেন্ডার কমিটির সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলাম। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com