
নেত্রকোণা থেকে স্টাফ রিপোর্টার
রনি মোল্লা
সাম্প্রতিক সময়ে এমনি একটি ঘটনার সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছেন,
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার হাছলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে হাছলা ও কয়ড়াপাড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ। আর শুরু হয়েছে রাজনীতিক প্রতিহিংসা। অভিযোগ প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
(২৬ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার কয়ড়াপাড়া গ্রামে প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলামকে মব করে আটকিয়ে রাখা হয়েছিল।পুলিশের সহায়তা উদ্ধার।এমন এক সংবাদের এর ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভিন্ন চিত্র,
স্থানীয় ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কিছু শিক্ষার্থী জানান, স্বৈরাচার সরকারের আমলে হাছলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দাতা প্রধান শিক্ষকের ক্ষমতার বলে নিয়োগ বাণিজ্য, বিদ্যালয়ের জমি বিক্রি,বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলামকে প্রশাসনিক তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
স্থানীয়রা আরোও জানান,২৭শে অক্টোবর প্রধান শিক্ষকের বিদ্যালয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম এবং সাময়িক দরখাস্ত নিয়ে প্রশাসনিক তদন্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এদিকে ২৬ শে অক্টোবর
মিল্লাতের নামে পাশের গ্রামের আওয়ামী লীগের কুচক্র মহলকে নিয়ে নাটকীয়তার মাধ্যমে আবারো সক্রিয়ভাবে প্রধান শিক্ষকের পদ ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন তাজুল ইসলাম। এলাকায় মানুষের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার লক্ষ্যেকে নাটকীয় ভূমিকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলামিনের বাড়িতে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করে, এমন পাগলামির খবর পেয়ে এলাকার স্থানীয় নেতা কর্মীরা এগিয়ে এলে
জীবন বাঁচাতে ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান তিনি।
পরে মোহনগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাজুল ইসলামকে স্থানীয় উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে থানার একটি কক্ষে রাখা হয়।
আপরদিকে,প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম,বিদ্যালয়ের ভূমি বিক্রি,আত্মীয়স্বজনদের নিয়োগ এইসব দুর্নীতির বিষয়াদি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিয়োগ একমাত্র এডহক কমিটির সদস্যদের মধ্যে হয়।আর জমি বিক্রি এটাও ভুল তথ্য।তিনি কোন রাজনীতির দলের সাথে সম্পর্ক ছিলেন না।এখন তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা শিকার।
২৬ শে অক্টোবরের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম আরো বলেন,বাবা মিল্লাতের দাওয়াত দিতে গিয়ে এমন ঘটনার সম্মুখীন হয়েছি। ওই বাড়িতে যদি তিনি না গিয়ে অন্য কোন বাড়িতে উঠতেন তাহলে আর বাঁচার সম্ভব ছিল না। পুলিশের সহায়তা উদ্ধার হয়ে থানায় আসেন। সকালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় প্রধান শিক্ষককে।
মোহনগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, শিক্ষক তাজুল ইসলাম ৯৯৯-এ ফোন করে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। আমরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে তাকে থানায় থেকে বিদায় দেওয়া হয়। তদন্ত ছাড়া কারও বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার সুযোগ নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পদ-পদবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করেন।অভিযোগগুলো আমলে নিয়ে প্রশাসনিক ভাবে প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে তৎকালীন এডহক কমিটির আহ্বায়ক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজুল ইসলামকে ছুটিতে পাঠিয়ে সহকারী শিক্ষক বজলুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেন।
উভয়পক্ষে সমর্থকদের দাবি সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসন যেন বিষয়টি কথিয়ে দেখেন।
Leave a Reply