খন্দকার জলিল,স্টাফ রিপোর্টার:পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার কলেজ ছাত্রী লামিয়াকে গণধর্ষনের মূল আসামী ইমরান মুন্সী (১৯) কে পটুয়াখালী জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১মে রবিবার বিকাল ৫টার সময় বরিশাল এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নের রাজগঞ্জ গ্রামের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত জসিম হাওলাদারের কন্যা লামিয়া আক্তার (১৭) তার বাবা-মা পূর্ব থেকে ঢাকায় অবস্থান করার কারণে লামিয়া তার নানা বাড়ি থেকে লেখাপড়া করত। গত ১৮ মার্চ বিকালে লামিয়া তার নানাবাড়ি থেকে রাজগঞ্জ গ্রামে গিয়ে তার পিতার কবর জিয়ারত শেষে নানা বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যায় গণধর্ষণের শিকার হয়।
একাধিক সূত্র থেকে জানা যায় আলগি গ্রামের মালেক মুন্সির ছেলে ইমরান মুন্সী এবং লামিয়ার সাথে পূর্ব থেকে গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১৮ মার্চ লামিয়া ধর্ষনের ঘটনায় ইমরান জড়িত থাকার ব্যাপক প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু লামিয়ার সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় বিয়ের প্রলোভনে ইমরানকে ধর্ষণ মামলায় আসামি করা হয়নি এবং বিষয়টি লামিয়া গোপন রাখে। এরপর থেকেই লামিয়া ইমরানের মাঝে সম্পর্কের দূরত্ব তৈরি হতে থাকে। ধর্ষণের পর লামিয়া চিকিৎসা শেষে তার পিতার বাড়িতে আসিয়া দীর্ঘদিন অবস্থান করার পরে ইমরানের কোন সাড়া না পেয়ে মনে ক্ষোভ নিয়ে গত ১৯ এপ্রিল তার মায়ের সাথে ঢাকার মোহাম্মদপুরে চালিয়া যায়। সেখানে লামিয়া তার মায়ের সাথে একটি ভাড়া বাসায় অবস্থান করে। গত ২৬ এপ্রিল রাতে মোহাম্মদপুরের ভাড়া বাসা থেকে লামিয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনার পর থেকেই ইমরান পলাতক হয়। দীর্ঘ অনুসন্ধান এবং গোয়েন্দা তৎপরতার পর তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। ইমরান পলাতক হওয়ার পর থেকেই এলাকার জনমনে সন্দেহের জাল তৈরি হতে থাকে। ইমরানকে গ্রেপ্তারের পর লামিয়ার মায়ের সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply