খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টার
দেশজুড়ে কয়েক সপ্তাহের টানা বৃষ্টির পরে অবশেষে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি দেখা দিলেও কৃষকের মুখে এখনো ফুটে ওঠেনি স্বস্তির হাসি। জমিতে বৃষ্টির পানি জমে নষ্ট হয়ে যাওয়া বীজতলা আবার পুনরায় আবাদ করার অক্ষমতা মিলিয়ে প্রান্তিক কৃষক এখন চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন।
বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল, চরাঞ্চল এবং নিম্নভূমিতে বসবাসকারী কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেক জায়গায় বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। ধানের চারা কিভাবে রোপন তা নিয়ে কৃষকের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। আবার কোথাও পানি নেমে যাওয়ার পর মাটি কাদা হয়ে যাওয়ায় সেখানে এখন চাষবাদ শুরু করা যাচ্ছে না।
পটুয়াখালী গলাচিপার এক কৃষক আনসার মাদবর বলেন, "এবারের বৃষ্টি আমাদের সব শেষ করে দিছে। জমিতে যা ছিল তাও পানিতে পচে গেছে। এখন আবার নতুন করে বীজ কিনতে হবে কিন্তু টাকা কই?"
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান চলতি মৌসুমে ধান ও সবজি চাষে লক্ষ্যমাত্রা পূরন কঠিন হয়ে পড়বে। কৃষকদের আস্বস্ত করে তারা আরও বলেন আমরা উর্ধতন কতৃপক্ষকে এ বিষয়ে জানিয়েছি তারা কোন প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে তাৎক্ষনিক ভাবে বিতরন করে দেব। এতে করে সাধারন কৃষকের কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসবে।
গলাচিপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে কৃষিজ উৎপাদনে এমন দুর্যোগ এখন নিয়মিত চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহন করার আহ্বান জানান।
সাধারন কৃষকরা এখন শুধু অপেক্ষায় দাড়িয়ে আছে। সরকার কখন তাদের দিকে একটু সহানুভূতির হাত বাড়ায়।