সৈয়দ উসামা বিন শিহাব স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর পল্লবী থানাধীন ১১ নম্বর ভাসানী মোড় এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ফুটপাত দখল, চাঁদাবাজি ও নানা অপকর্মের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি—এলাকায় প্রভাব বিস্তারকারী যুবলীগের পরিচিত নেতা আড্ডুর সহযোগী কামরান নামের এক ব্যক্তি এসব কর্মকাণ্ডের মূল হোতা হিসেবে কাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাসানী মোড় থেকে বাংলা স্কুল সংলগ্ন সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যবসায়িক স্থাপনা বসানো হয়। পথচারীদের দাবি, এসব অস্থায়ী স্থাপনা শুধু জনদুর্ভোগই বাড়াচ্ছে না, বরং এলাকাজুড়ে একটি অস্বস্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি করছে। দখলকৃত ফুটপাত দিয়ে সাধারণ মানুষ—বিশেষ করে নারী, শিশু ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের হাঁটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পূর্বে বাংলা স্কুলের কাছে জাহিদ নামের এক যুবকের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাতেও কামরানের নাম উঠে আসে। তারা জানান, ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও এ বিষয়ে এখনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ফলে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
বাসিন্দারা আরও অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর পরিস্থিতি আরও নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে উঠেছে। কিছু অসাধু রাজনৈতিক ব্যক্তির ছত্রছায়ায় কামরান নতুন করে সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং ব্যবসায়ী ও পথচারীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগও বাড়তে থাকে। তারা বলেন, দিন-দুপুরে টাকা ওঠানো থেকে শুরু করে হুমকি—সবকিছুই যেন এখন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে যুবলীগের কোনো পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে ভাসানী মোড় এলাকার জনপথ অবৈধ দখলমুক্ত হয় এবং সাধারণ মানুষের চলাচলে নিরাপত্তা ও স্বস্তি ফিরে আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।