রাজু সাধু, স্টাফ রিপোর্টার
পাইকগাছা উপজেলার একটি মটরসাইকেল গ্যারাজের মালিক এবং এলাকায় সক্রিয় ছিলেন বিএনপির সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি এম. মো: মোশাররফ হোসেন (৪৫) বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে গৃহে ৩টি বোতল বিষ পান করে গুরুতর আক্রান্ত হন এবং পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেছেন। পরিবার ও সূত্রগুলো সময় ঘটনার বিবরণ সারসংক্ষেপে জানিয়েছে।
ঘটনাক্রম — সূত্র অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত প্রায় তিনটায় নিজ বাড়ি থেকে মোঃ মোশাররফ হোসেন তিন বোতল বিষ পান করেন। প্রথমে তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সকাল ছয়টার দিকে স্বাস্থ্যকর্তারা স্বজনদের উপস্থিতিতে তার জবানবন্দী নেয়ার চেষ্টা করলেও গুরুতর অবস্থার কারণে জবানবন্দী গ্রহণ করা যায়নি। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাকস্থলীর ধোয়া (গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজ) করা হয়; তবুও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে খুলনার ২৫০ বেড হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখান থেকে পরে তিনি খুলনা গাজী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হন এবং আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
পারিবারিক ও রাজনৈতিক পরিচিতি — নিহতের পরিবারের বরাতে জানা যায়, তিনি এক স্ত্রী, এক কন্যা ও দুই পুত্র রেখে গেছেন। পেশায় তিনি মটরসাইকেল গ্যারাজের মালিক এবং পাইকগাছা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডে বিএনপির সাবেক সভাপতি হিসেবে সক্রিয় ছিলেন। বর্ণিত হয়েছে যে, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ভোট-নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে তাকে কিছু দিন ধরে টেনশন ছিল।
দাবি ও প্রতিক্রিয়া — মৃত সম্পকে বিভিন্ন স্থানে সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকাবাসী ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করেন। গাজী মেডিকেলে পৌঁছানো এক ব্যক্তি ভিডিওবার্তায় মো: মনির হোসেন (পাইকগাছা ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর), মো: সেলিম নেওয়াজ ও রজীব—এর নাম উল্লেখ করেন; ওই বক্তব্য অনলাইনেও ছড়িয়ে পড়ে। এ ইস্যুতে সেলিম রেজা লাকী ও অ্যাডভোকেট সাইদুর ইসলাম সুমন সাংবাদিকদের জানান, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয় — সঠিক তদন্ত করে বিচার করা হোক। অ্যাডভোকেট সাইদুর ইসলাম সুমন বলেন, প্রাথমিকভাবে তাদের ধারণা দুই ব্যক্তির সম্পৃক্ততা থাকতে পারে; তবে তারা কেউর নাম উল্লেখ করেননি এবং বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্তের দাবি করেন।
তদন্তের অগ্রগতি — এখন পর্যন্ত (স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী) প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের কাজ চলছে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে প্রশাসন ও তদন্তকারী সংস্থাকে হস্তক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেয়া ও বিষয়টি তদন্তে কাউন্টার-পার্টি কর্তৃক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
এই সংবাদ পত্রে প্রকাশিত হওয়া পর্যন্ত পুলিশের বা প্রশাসনের আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পৌঁছেনি/প্রকাশিত হয়নি। ঘটনার সাথে জড়িত যে কোন অভিযোগ বা অনুমানকে অপরিহারে ধরে নেওয়া উচিত নয়—সঠিক ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে যেকোনো সমালোচনামূলক প্রশ্নের জবাব মেলানো উচিত।