
ইব্রাহিম খলিল পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার আটঘরিয়ায় মৌসুমি কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মূলেকাটা পিয়াজ চাষের পরিচর্যায়। শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে মাঠজুড়ে সবুজ পিয়াজ গাছের সমারোহে চারদিকে যেন সবুজের উৎসব। কৃষকরা জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার পিয়াজের ফলন ভালো হবে বলে আশা করছেন তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে—দেবোত্তর, একদন্ত, লক্ষ্মীপুর, মাজপাড়া,চাঁদভা ও পৌরসভা এলাকায় শতাধিক হেক্টর জমিতে মূলেকাটা পিয়াজের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা জমিতে নিড়ানি, সেচ ও রোগবালাই দমনসহ নিয়মিত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কৃষক আব্দুল হামিদ বলেন, “গত বছর ভালো দাম পেয়েছিলাম, তাই এবার একটু বেশি জমিতে মূলেকাটা পিয়াজ লাগিয়েছি। এখন নিয়মিত সেচ ও আগাছা দমন করছি। আল্লাহ চাইলে ফলন ভালো হবে।” কৃষক আলম জানান, আমার সোয়া বিঘা জমিতে মূলেকাটা পিয়াজ লাগিয়েছি। বীজ খরচ ১৮হাজার টাকা। লেবার, সার- কীটন্যাশক ও সেচসহ খরচ ১২ হাজার টাকা। সব মিলে খরচ আসবে ৩০ হাজার টাকা। মূলেকাটা পিয়াজের জমি লিজ নিয়ে চাষ করলে পেঁয়াজ চাষের খরচ আরও বহুগুনে বেরে যায়। এতে দাম ও ফলন কম হলে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আবহাওয়া ও ফলন ভালো হলে বিঘাপ্রতি ৫০-৬০ মণ পর্যন্ত হয়। যার বাজার মূল্য বিঘাপ্রতি ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আশা করা যায়। কৃষক রবিউল বলেন, আমাদের এই কয়ড়াবাড়ি মাঠে অনেকেই মূলেকাটা পিয়াজ লাগিয়েছে। তার মধ্যে আমার আধাবিঘা,কামাল আধাবিঘা,আজির উদ্দিন তিন পোয়া, জিয়ারুল ১২ শতক,কালাম আধাবিঘা,শাহেদ সরদার তিন পোয়া। আমরা কার্তিক মাসের প্রথম থেকে এই পিয়াজ লাগানো শুরুকরি এবং চৈত্র মাসে ঘরে তুলতে পারবো বলে আশা করি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাহমুদা মোতমাইন্না বলেন, “মূলেকাটা পিয়াজ চাষে এ অঞ্চলের কৃষকরা বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছেন। সময়মতো পরিচর্যা করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। কৃষকদের আমরা নিয়মিত পরামর্শ ও সার-বীজ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।” কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, সঠিক পরিচর্যা ও অনুকূল আবহাওয়া থাকলে চলতি মৌসুমে আটঘরিয়া উপজেলায় প্রায় কয়েক হাজার টন মূলেকাটা পিয়াজ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে এবং স্থানীয় বাজারেও সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
Leave a Reply