সংবাদদাতা: মোঃ রুবেল মিয়া ব্রাহ্মণবাডিয়া ।
সদর ট্রাফিকে কর্মরত থাকাকালীন ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার হিসেবে প্রথমবার এবং জুলাই/২০২৫ মাসের শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার হিসেবে ২য় বার কৃত্বিতের সনদ প্রদান করে জনাব এহতেশামুল হক, মান্যবর পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলা মহোদয়।
ফজলু মিয়া(টিএসআই) তিনি মৌলভীবাজার জেলার, কমলগঞ্জ থানার, ইসলামপুর ইউনিয়ন কৃতি সন্তান ,তিনি কুরমা গ্রামে ১৯৮৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে জন্মগ্রহণ।
তিনি ২০১৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বর্তমানে ১ কন্যা সন্তানের জনক।
ইসলামপুর পদ্মা মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৪ সালে এসএসসি পাশ করে।
কমলগঞ্জ গন মহাবিদ্যালয় ( বর্তমানে কমলগঞ্জ সরকারি কলেজ) আই বি এম(ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট) নিয়ে পড়াশোনা করা কালীন ২০০৬ সালে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ লাইন্সে কনস্টেবল পদে ভর্তির জন্য পরীক্ষা দিয়ে ১ম স্থান অধিকার করে।
তিনি বলেন আমি নোয়াখালী পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার থেকে ৪ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করে ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসে কক্সবাজার জেলায় কন্সটেবল হিসেবে প্রথম চাকুরী জীবন শুরু করি।
২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে সিলেট রেঞ্জে ট্রান্সফার হলে রেঞ্জ ডিআইজি মহোদয় সিলেট জেলায় পোস্টিং দেন।
সিলেট জেলার পুলিশ লাইন্স এর নিয়মিত ফোর্স হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন ২০০৯ সালে কানাইঘাট থানা, এরপর গোলাপগঞ্জ থানা, ২০১০ সালে জকিগঞ্জ থানায় (কম্পিউটার অপারেটর/মুন্সি/বেতার অপারেটর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করি।
২০১৫ সালে এটিএসআই হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর আমি স্বপরিবারে জকিগঞ্জ গিয়ে বেড়িয়ে আসি।
২০১৩ সালে, অল্প কিছুদিন জৈন্তাপুর থানায় চাকুরী করার পর জকিগঞ্জ থানার মুন্সি হিসেবে কিছুদিন কর্মরত থেকে সেখান থেকে গোলাপগঞ্জ থানাধীন কুশিয়ারা তদন্ত কেন্দ্রে চাকুরী করি।
এর পর জনাব জসিম উদ্দিন মজুমদার, সহকারী পুলিশ সুপার জকিগঞ্জ সার্কেল স্যার এর সহিত জকিগঞ্জ সার্কেল অফিস এর কম্পিউটার অপারেটর এবং জনাব ফারুক আহমদ স্যার এর সহিত কম্পিউটার অপারেটর ও রিডার হিসেবে কর্মরত থাকি।
আবার ২০১৪ সালে কোম্পানিগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকাকালীন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশে বদলী হলে এসএমপি তে সিটিএসবি'র কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত থাকি।
২০১৪ সালের বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষায় কন্সটেবল হতে এটিএসআই পদে অংশগ্রহণ করে ২য় স্থান অধিকার করি।
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে এটিএসআই পদে প্রোমোশন হয়। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে ট্রাফিক বিভাগে পোস্টিং হলে নিয়মিত ফোর্স হিসেবে কর্মরত থাকি।
২০১৭ সালে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, মহেড়া, টাংগাইল এ ৫৬ দিনের এটিএসআই নবায়ন কোর্সে ৫ম ব্যাচে অংশগ্রহণ করে ১ম স্থান অধিকার করি।
২০২১ সালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ট্রাফিক) জনাব জ্যোতির্ময় সরকার স্যার আমাকে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করার জন্য ট্রাফিক অফিসে নিয়ে আসেন, কিছুদিন রিজার্ভ অফিসে কর্মরত থেকে প্রসিকিউশন শাখায় কাজ শুরু করি।
২০২২ সালের এটিএসআই হতে টিএসআই পদে বিভাগীয় পদোন্নতি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি সারা বাংলাদেশে ১ম স্থান অধিকার করি।
২০২৩ এর এপ্রিল মাসে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলায় যোগদান করে প্রথমে ১ নং শহর পুলিশ ফাড়ি, পরে ২০২৪ সালের জুলাই মাস হতে অদ্যাবধি সদর ট্রাফিকে কর্মরত আছি।
সদর ট্রাফিকে কর্মরত থাকাকালীন ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসের শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার হিসেবে প্রথমবার এবং জুলাই/২০২৫ মাসের শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার হিসেবে ২য় বার কৃত্বিতের সনদ প্রদান করে জনাব এহতেশামুল হক, মান্যবর পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলা মহোদয়।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে আমার স্ত্রী ও মেয়ে ব্রাহ্মনবাড়ীয়া ৪ দিন এর জন্য বেড়িয়ে যান।
কর্মরত থাকাকালীন আমি কক্সবাজার, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, এসএমপি সিলেট, ব্রাহ্মনবাড়ীয়া জেলার মানুষের অকৃত্রিম আন্তরিকতা ও ভালোবাসা পেয়েছি যা আমি আজো ভুলতে পারি নি। যার অনেকেই আমাকে আজো একাগ্রচিত্তে শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতার সহিত স্মরণ করেন।
আমার অল্প এই কর্মজীবনে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী পেয়েছি, অনেকের সাথেই মনোমালিন্য হয়েছে। মানুষ হিসেবে আমি ভুলের উর্দ্বে নই। ভুলত্রুটি মিলিয়েই মানুষ আমার অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের কারনে কারো মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে দেশে ও প্রবাসে অবস্থানরত সকলের কাছে বিনীতভাবে ক্ষমা চাইছি।
আল্লাহ যেন সবাইকে সুস্থতার সহিত নেক হায়াত দান করেন, সকল প্রকার বিপদ আপদ থেকে হেফাজত করেন।
আমিন