ফরিদগঞ্জের কামতায় অবৈধভাবে জোর করে অন্যের বসতভিটা দখল
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ ওয়ারেছ আহাম্মেদ ভূঁইয়া
চাঁদপুর জেলা, ফরিদগঞ্জ উপজেলাষ, ৪ নং সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন, ৪ নং ওয়ার্ডের, কামতা নোয়াবাড়ির, জনাব মৃত আলী আকবর এর পুত্র নুরুল ইসলাম (৫২), আবুল হোসেন (৪০), মোরশেদ আলম (৩১) ও পুত্রবধু জান্নাতুল ফেরদৌস জোর খাটিয়ে ছোট বড় প্রায়, ২৫টির ও অধিক বিভিন্ন ফল এবং কাঠ গাছ জোর করে কেটে ফেলেন। জিজ্ঞাসাবাদ করলে জনাব নুরুল ইসলাম বলেন ওই সম্পত্তি তাহাদের ছিল। এখন উনার ছোট ভাই বসতঘর করবেন। তাই তিনি গাছগুলো কেটে ফেলেছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন এই সম্পত্তি উনার স্বামীর ছিল এজন্য উনি ঘর করার উদ্দেশ্যে এ সকল গাছগুলো কেটে ফেলেন এবং জমি দখল করেন।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাড়িতে মোট ৬টি মূল অংশ যাদের প্রত্যেকের জমি বাড়ির বিভিন্ন যায়গায় টুকরো টুকরো ছিল। আজ থেকে প্রায় ১২ বছর পূর্বে ৬টি অংশের সবাইকে নিয়ে নিজেদের মধ্যে একটি বৈঠকের আয়োজন করে। বৈঠকে সকলের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রত্যেকে প্রত্যেকের সুবিধা অনুযায়ী জায়গা একত্রিত করে নেওয়া হবে। যেন সবার বসতবাড়ি তৈরী করতে সুবিধা হয়। ঐ বৈঠকের সিদ্ধান্ত ১০০ টাকার একটি স্টাম্পে লিখিত আকারে সকলের সম্মতিক্রমে স্বাক্ষার নেওয়া হয়। এখানে আবুল হোসেন এর মা ও তার ভাই সহ উপস্থিত ১৯ জনের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ সপ্তাহ ধরে ২ জন সরকারী সার্ভেয়ার আমিন দ্বারা বাড়ির মাপের কাজ সম্পন্ন করা হয়। ঐ আনুযায়ী আবুল হোসেন, পিতা-আলী একাব্বর তার অংশের জমি সমপূর্ণ বুঝিয়া নিয়ে সীমানা অনুযায়ি বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। বর্তমানে তাদের দখলকৃত জমিতে তার বড় ভাই নুরুল ইসলাম (৫২), পিতা-আলী একাব্বর সর্বপ্রথম পাকা বাড়ি নির্মান করে। যেখানে পূর্বে বাড়ির এজমালি কাচারি ঘর ও মাদ্রাসা মাঠ ছিল। বি এস রেকর্ড অনুযায়ী তাদের মোট জমি ৪৭ শতাংশ। নকসা অনুযায়ী তাদের একাটি কাচা ঘর বাড়ির প্রবেশ পথ এবং আব্দুল মালেক মুন্সির জায়গায় পড়ে। ঘরটি এক বছরের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার কথা থাকলে আজ বলে কাল, কাল বলে পরশু এভাবে প্রায় দীর্ঘ ১০ থেকে ১২ বার সময় নিয়েও বাড়ির রাস্তা এবং আব্দুল মালেক মুন্সির জায়গাটি তারা নখল ছাড়ে নাই। অবশেষে ঐ জায়গাটিকে নিজেদের বলে দাবি করে পুরো বাড়ির ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে একাটি মিথ্যা মামলা করে। তদন্ত সাপেক্ষ মামলাটি রায় তাদেরই বিপক্ষে যায়। গত ৩ বছর আগে বাড়ির অনা একজন অংশীদার তার জায়গায় বসতঘর নির্মাণ করতে গেলে তারা আবারো ঐ বসতভিটার জায়গা দখলের জন্য বাহিরে থেকে মাস্তান বাহিনী নিয়ে আসে। দখল করতে না পেরে আবারো বাড়ির সবার বিরুদ্ধে মামলা করে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে একাটি তদন্ত টিম আসে। তদন্ত টিমের রির্পোট অনুযায়ী তার বর্তমানে দখলকৃত জায়াগা ৫১ শতাংশ। যাহা তার বিএস রেকর্ড ৪৭ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ বেশী। ফলে এই মামলার রায় ও আদালত কর্তৃক তাদের বিপক্ষে যায়।
উল্লেখিত যে মামলা মোকাদ্দমায় না পেরে তারা তাদের পাশে বর্তমান নকণার বাহিরে, মোহছেনা বেগম (৬১), স্বামী মৃত আব্দুল মালেক মুন্সির কাঠ এবং ফলের বাগান রাতের আধারে দলবল নিয়ে কেটে দখলে নিয়ে জোর পূর্বক পাকা বাড়ি নির্মাণের প্রস্তুতি নেয়। এতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়। খবরটি শুনার পর প্রতিপক্ষ মোহছেনা বেগম (৬১) সদ্য অপারেশনের রুগি ও অসুস্থ শরীর নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে যাহা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। এছাড়া মোহছেনা বেগমকে (৬১) ওই জায়গায় পূনরায় যদি নিজের দাবি করে তাহলে তাকে প্রান নাশ করবে বলে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন। ফলে তিনি প্রান নাশের ভয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়। এ ব্যাপারে বাড়ির অন্যায় ময়মুরব্বি সহ আশেপাশের লোকজন বাধা দিতে গেলে সবাইকে একইভাবে গালাগালি ও ভয়ভীতি দেখানো হয় ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাড়ির অন্য একজন অংশীদার জনাব মোঃ মৃত আব্দুল মান্নান এর পুত্র জনাব মোঃ রব (৭০) উপস্থিত হন, উনাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বলেন এই ভূমি প্রায়, ১২ থেকে ১০ বছর পূর্বে বাড়ির সকল অংশীদারগণ সহ একত্রিত হইয়া বাড়ি মাপ জরিপ করিয়া মৃত আব্দুল মালেক কে
এওয়াজ বদল এর বিনিময় এই সম্পত্তি দেওয়া হয়, এই বিষয়টা বাড়ির সকলে এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ বিষয়টা নিয়ে অবগত রয়েছেন। তিনি আরো বলেন এখন বর্তমানে জনাব নুরুল ইসলাম গং টাকা এবং শক্তির জোরে এই ভূমি জোর দখল করে নিতেছেন। বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকে দিচ্ছেন।
তাদের এই সন্ত্রাসি কর্মকান্ডে পুরো বাড়ি ও আশেপাশের লোকজন অতিষ্ট। বার বার আদালতের রায়ে বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেদের পক্ষে রায় না আসায় টাকার জোরে এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাস ও সান্তান বাড়িতে এনে অন্যের জমি দখল করে ও প্রান নাশের হুমকি দেয়। । এই অবস্থা থেকে পরিত্রান জন্য বাড়ির সবাই প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করছে।