স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃ নেছার উদ্দিন
বরগুনার তিনটি সংসদীয় আসন পূর্ণ বহাল রাখার দাবিতে আমতলী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলা চত্বরে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন
১. জহিরুল ইসলাম মামুন (ভিপি) সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আমতলী উপজেলা বি এনপি
২. তুহিন মৃধা সদস্য সচিব আমতলী উপজেলা বিএনপি ৩.কবির উদ্দিন ফকির আহবায়ক পৌর বিএনপি ৪.মকবুল খান যুগ্ন আহবায়ক আমতলী উপজেলা বিএনপি ৫.জালাল উদ্দিন খান সদস্য সচিব আমতলী পৌর বি এনপি ৬.অধ্যাপক এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ মল্লিক সাবেক এমপি ৫.জাহাঙ্গীর মাস্টার উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি ৬.অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সভাপতি আমতলী উপজেলা আইনজীবী সমিতি সহ আমতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। বক্তারা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে বিবেচনায় নিয়ে বরগুনার তিনটি সংসদীয় আসন অক্ষুণ্ণ রাখা প্রয়োজন। অন্যথায় জেলার জনগণ উন্নয়ন বৈষম্যের শিকার হবে।
জহিরুল ইসলাম মামুন (ভিপি) সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আমতলী উপজেলা বি এনপি তিনি বলেন, বরগুনা একটি উপকূলীয় দুর্যোগপ্রবণ জেলা। নিয়মিত ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য বিশেষ বাজেট বরাদ্দ ও উন্নয়ন প্রকল্প দরকার। আসন সংখ্যা কমিয়ে দিলে জনগণের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে এবং উন্নয়ন ব্যাহত হবে।
তুহিন মৃধা সদস্য সচিব আমতলী উপজেলা বিএনপি তিনি বলেন বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী), আসন ১১২ পুনর্বহালের জোর দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান জানান। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সুবিধার্থে আওয়ামী লীগ সরকারের পরামর্শে নির্বাচন কমিশন অন্যায়ভাবে এ আসনটি বিলুপ্ত করে। এ সিদ্ধান্ত ছিল জনগণের ভোটাধিকার সংকুচিত করার ষড়যন্ত্রের অংশ। এর ফলে প্রায় ৪ লক্ষাধিক ভোটার তাদের নিজস্ব আসন থেকে বঞ্চিত হন। আমতলী-তালতলী অঞ্চলের মানুষ কার্যত জাতীয় সংসদে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব হারান।
মানববন্ধনে তিন দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়
১. জনগণের সংখ্যা, ভৌগোলিক বাস্তবতা ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে বরগুনার ৩টি আসন অবিলম্বে পুনর্বহাল করা।
২. ২০০৮ সালের বিতর্কিত ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত বাতিল করা।
৩.গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটাধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, "আমতলী-তালতলীর মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত হয়ে আসছে। একটি পূর্ণাঙ্গ আসনের মতো জনসংখ্যা থাকার পরও আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।” আমতলী-তালতলী বাসির অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করেন।