/রামগতি ও কমলনগর মেঘনার ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ। মেঘনা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ক্রমশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে রামগতিও কমলনগর উপজেলা। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, বাজারসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা। এছাড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের বড়খেরী ইউনিয়নের কোরেশবাড়ি এলাকায় বিবিরহাট-রামগতিরহাট সড়কের অংশ মেঘনার ভাঙ্গনে বিলীন।মেঘনার তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে শত শত ঘর বাড়ি, বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলী জমি।
রামগতি ও কমলনগর বাঁচাতে বেড়িবাঁধ জন্য বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ, আন্দোলনের সমাবেশ মানববন্ধন করার ফলে উক্ত কাজটি গত ১জুন একনেক সভায় উপস্থাপন হয় যা একনিক একনেক কর্তৃক লক্ষ্মীপুর রামগতি ও ওকমলনগর উপজেলার বড়খেরী, লুধুয়া বাজার এবং কাদের পন্ডিতের হাট এলাকাতে ভাঙ্গনহতে রক্ষা
মেঘনা তীর সংরক্ষণ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোধন করেন
।যার ব্যায় নির্ধারিত করেন৩০৮৯,৯৬৯৯(তিন হাজার উননব্বই কোটি ছিয়ানব্বই লক্ষ নিরানব্বই হাজার) টাকা প্রস্তাবে পাস হয়।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনা নদীর অব্যহত ভাঙ্গনে ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে এলাকার বিভিন্ন স্থপনাসহ ফসলী জমি এবং গৃহহীন হয়ে পড়েছে কয়েকহাজার পরিবার। এমন ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে কয়েকটি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়সহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙ্গনের কবলে পড়ায় অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে।লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগরের প্রধান সমস্যা মেঘনার ভাঙন। জনগোষ্ঠী দাবী বর্তমানে এই নদী বাঁধ হবে কি?
এইবিষয়ে রামগতির কৃতিসন্তান বর্তমান অবসর প্রাপ্ত গোয়েন্দা কর্মকর্তা (ডিআইভি) সাব ইন্সপেক্টর ছাইদুল হক সাবেক জানান আনুমানিক ২০০০সালের আগে বিবিরহাট বাজার টু আলেকজান্ডার বাজার একটি প্রধান সড়ক ছিল যেটা সংশ্লিষ্টদের অবহেলার কারণে এই বিবিরহাট বাজার থেকে আলেকজান্ডার বাজার প্রধান সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।বর্তমানে রামগতি টু বিবিরহাট বাজার প্রধান সড়কটি নদী গর্ব বিলীন হয়ে গিয়েছে। তার মতে জনপ্রতিনিধি ও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নজরে নিবেন এবং বর্তমান একনেক থেকে পাশ হওয়া কাজটি সেনাবাহিনী হাতে হওয়ার আশা ব্যাক্ত করেন ।
এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড়ের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী এম এম জাহাঙ্গীর (রামগতি উপ-বিভাগ) মুঠোফোনে কল করে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় সংবাদ কর্মী ধ্রুব বাণী ই-পত্রিকার প্রতিনিধি আল -আমিন হোসেন জানান আমাদের আগের বাঁধ আলেকজান্ডার ও রামগতি হয়েছে যার মধ্যে একটা ছিল সেনাবাহিনী দ্বারা অন্যটি ঠিকাদার দ্বারা কাজ হয়েছিল।তাহলে দেখা মেলে ঠিকাদার দ্বারা কাজটি এখন বিলীনের পথে কিন্তু সেনাবাহিনীর হাতের কাজটি এখনও অব্যাহত রয়েছে। সরকার আমাদেরকে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সেই টাকা যদি সঠিক কাজে আমরা ব্যয় করতে না পারি তাহলে আমাদের সঠিক উদ্দেশ্য সাধিত হবে না।
এ বিষয়ে আব্দুজ জাহের সাজু বলেন, রামগতি-কমলনগরবাসীর প্রাণের দাবী নদী বাঁধ। তাই আমি এই প্রজেক্ট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ নানা দপ্তরে যোগাযোগ ও তদবীর করে কাজের ৯৯% কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।রামগতি ও কমলনগর বাসি আমাদের দীর্ঘ দিনের স্বপ্নের নদী তীর রক্ষা বাঁধের ১/০৬/২০২১ তারিখে একনেক ফাইলপাস হয়। ২/৮/২১ তারিখে DPP ফাইল পাশ হয়েছে । আজকে আল্লাহর নাম নিয়ে একনেক থেকে জি ও হয়েছে এবং হাতে পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন বাঁধ নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন আমরা ও দেখিয়ে দিব, বলেন আমাদের নদী তীর রক্ষা বাঁধের কাজ সেনাবাহিনী দিয়ে করার জন্য আজ আমি জি ও হাতে পাওয়ার পর আমাদের এমপি মেজর (অব:) আব্দুল মান্নান সাহেবের সাথে ফোনে কথা বলেছি যেন সেনাবাহিনী দিয়ে কাজটি করা যায় ।আপনারা কারো কথা কান দিবেন না।
সেনাবাহিনী দিয়ে কাজ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কে অবহিত করা হয়েছে ।আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর PS এর সাথে কথা বলে আসলাম । PS সাহেব আমাকে পরামর্শ দিয়েছে যে আপনারা পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় থেকে মন্ত্রী মহোদয়ের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেনাবাহিনী দিয়ে কাজ করার জন্য চিঠি পাঠান ।তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্হা নিবে।আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমাদের নদী ভাঙ্গা গরীব দু:খী অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য যেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দিয়ে কাজটি করাতে পারি, সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন