করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন সিলেটের বিশ্বনাথে কঠোরভাবেই পালিত হয়েছে। সর্বাত্নক লকডাউনের প্রথম দিনে (১ জুলাই) উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার-বিডিপি’র যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। লকডাউন অমান্য করায় কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে ৯টি মামলা দায়েরের পাশাপাশি ৬ হাজার ৯শত টাকা জরিমান আদায় করা হয়েছে।
লকডাউন কার্যকরে ‘আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ায়’ বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার হওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে বাহিরে বের হয়েছেন খুবই কম সংখ্যক মানুষ। আর এই কম সংখ্যক মানুষের মধ্যে প্রয়োজন ছাড়া যারা বের হয়েছেন তাদেরকে গুনতে হয়েছে জরিমানা। সেনাবাহিনীকে সাথে নিয়ে সর্বাত্মক লকডাউন কঠোর ভাবে বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে আইন শৃংখলা বাহিনী।
কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে চলাচল বন্ধ ছিলো গণপরিবহন। রাস্তাঘাট ছিলো প্রায় ফাঁকা। সরকারি বিধিনিষেধের আওতামুক্ত ব্যতিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেননি বেশির ভাগ ব্যবসায়ী। উপজেলা ও পৌর শহরের সর্বত্র মানুষের উপস্থিতি ছিলে অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম।
সরেজমিন দেখা যায়, বন্ধ রয়েছে জরুরী ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সদরে মানুষের উপস্থিতি অপ্রতুল। উপজেলা সদর ও পৌর শহরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার-বিডিপি সদস্যরা, উপজেলা প্রশাসন লকডাউন কার্যকরে একযোগে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। মহড়া দিচ্ছেন অলি-গলিতেও। সেনা সদস্যরা হ্যান্ড মাইকে সচেতনতা মূলক প্রচারনার পাশাপাশি, জনসাধরণকে বিনা প্রয়োজনে বাহিরে যেতে নিষেধ করছেন। এদিকে কেউ বিনা প্রয়োজনে বাহিরে এলে তাদের জিজ্ঞাবাদ করছে পুলিশ।
মহড়াকালে সরকারি আইন ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় দায়ের করা ৯টি মামলায় আলাদা ভাবে অর্থদন্ড দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাস এবং সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. কামরুজ্জামান। মামলা দায়েরের পর তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন হারে ৬ হাজার ৯শত টাকা আদায় করা হয়।
জনসাধারণকে নিজেদের স্বার্থে ৭দিন ঘরে থাকার আহবান জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাস বলেন, মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply