নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিয়ের প্রতারণা যার নিত্য নতুন কর্মকাণ্ড ও ব্যবসাও বটে এমনি এক নারীর সন্ধান মিলেছে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার খয়রা গ্রামের একরামুল হকের মেয়ে ছদ্মনাম জেসমিন খাতুন (২৮) ইতি মধ্যে বয়স ২৮ পেড়তে না পেড়তেই তিনি বিয়ে করেছেন ১৭ জন কে? কিন্তু প্রশ্ন জনমতের বিবাহ বিচ্ছেদ আমাদের সমাজে অহরহ হয়ে আসছে।
ছদ্মনাম জেসমিন খাতুন বছরের মধ্যে এক নারী ১৭ জন পুরুষকে বিয়ে করেন এবং ইতিমধ্যে ১০ টি বিয়ের প্রমাণ পাওয়া যায় । ইতি মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে বিজ্ঞ আদালতে সি.আর-৩৯৬/২০২৩ দায়ের করেন বাদী হয়ে ভূক্তভূগী মোঃ মোত্তাকিন (৪৫) পিতা-মৃত হুসেন আর্ট
সাং-দক্ষিণ চরাগ্রাম ডাকঘর- নামোশংকরবাটী জেলাঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
আসামি ১। মোঃ একরামুল হক (৫০) পিতা-মৃত শামসুদ্দিন ২। মোসাঃ জেসমিন খাতুন (২৮)পিতা-মোঃ একরামুল হক৩। মোসাঃ জোসনারা বেগম (৪৫)জং-মোঃ একরামূল হক৪। মোসাঃ তাহেরা খাতুন (২৯)জং-রহমত আলী সর্বসাং-খয়রা ডাকঘর-আমনুরা থানা-গোদাগাড়ী জেলা-রাজশাহী।
বাংলাদেশের ফৌজদারি আইনে তথ্য গোপন করে একাধিক বিয়ে একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। তারপরও অনেকে পরিচয় গোপন রেখে কিংবা আইনের ফাঁক গলে একাধিক বিয়ে করে। এমনকি এক ব্যক্তির শতাধিক বিয়ের খবরও পাওয়া যায়।
বিয়ের নামে বহু পুরুষকে ফাঁদে ফেলে অর্থ-সম্পদ লুট, পরিচয় জালিয়াতি করে নানামুখী প্রতারণা-জালিয়াতি ও নিরীহ লোকদের হয়রানিসহ বিভিন্ন অভিযোগে মানুষকে ব্লাকমেইল করা অত্র প্রতিপক্ষগনের নেশা ও পেশা হইতেছে।
যাহা দরখান্তকারী জানিত না। ইতিপূর্বে ২নং প্রতিপক্ষের ১২টিরও অধিক বিবাহ সম্পন্ন হইয়াছে। এহেন কার্য্যের সহযোগী অন্যান্য প্রতিপক্ষগন হইতেছে। ৪নং প্রতিপক্ষ ১নং প্রতিপক্ষের সহযোগী হিসাবে প্রতিপক্ষগণের পরিচয় গোপন করিয়া অত্র দরখাস্তকারীকে প্রলুদ্ধ করিয়া কুমারী নারীর পরিচয় দিয়া অত্র দরখাস্তকারীর সহিত ১নং প্রতিপক্ষের গত ইং 22/02/২৩ তারিখে বিবাহ সম্পন্ন হয়।
ঘর সংসার করা কালে অত্র দরখাস্তকারী জানিতে পারে যে, ২নং প্রতিপক্ষের ১২টিরও অধিক বিবাহ সম্পন্ন হইয়াছে এবং বিবাহ বিষয়টি সে ব্যবসা হিসাবে গ্রহণ করিয়াছে। ২নং আসামীর সহিত বাদীর সংসারের প্রথম দিন হইতেই বাদীকে ২নং আসামী তাহাকে বিবাহের যৌতুক হিসাবে প্রতিপক্ষের নামীয় সাড়ে চার কাঠা মাটিতে অবস্থিত বসত বাড়ীটি (যাহার আনুমানিক মূল্য ৫,০০,০০০/- (৫ লক্ষ টাকা) টাকা হইতেছে) ২নং প্রতিপক্ষের নামে লিখিয়া দিবার জন্য চাপ দিতে থাকে।
অত্র দরখাস্তকারী তাহার নামীয় বসতবাড়ী ২নং প্রতিপক্ষকে লিখিয়া না দিলে অত্র প্রতিপক্ষগণ অত্র দরখাস্তকারীকে বিভিন্ন প্রকার নির্যাতন করিতে থাকে। এক পর্যায়ে অত্র প্রতিপক্ষগণ অত্র দরখাস্তকারীকে প্রান নাশের হুমকি প্রদান করিতে থাকে। এক পর্যায়ে অত্র ১- ৩নং প্রতিপক্ষগণ গত ইং ২৯/০৩/২০২৩ তারিখ রাত্রী অনুমান সকাল ০৯.০০. ঘটিকা হইতে ০৯.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অত্র দরখাস্তকারীর বাড়ীর শয়ন।
ঘরে ট্রলি ব্যাগে থাকা ৩,৫০,০০০/- (তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা, ট্রলি ব্যাগে থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের নেকলেশ যাহার মূল্য ১,২০,০০০/- (এক লক্ষ বিশ হাজার) টাকা, ট্রলি ব্যাগে থাকা আনা ওজনের স্বর্ণের কানের দুল যাহার মূল্য ৫৫.০০০/-(৫৫ হাজার ) টাকা আসামীগণ পরস্পর যোগসহায়তায় পরস্পরে অসৎ উদ্দেশ্যে চুরি করিয়া লইয়া বাইলে মাত্র দরখাস্তকারী ১-৩নং প্রতিপক্ষগনকে আসামী করিয়া বিজ্ঞ আমলী আদালত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে সি.আর-৪৩০ /২৩
এই প্রতারক নারীকে বিজ্ঞ আদালত
জেল হাজতে প্রেরণ করেন ।