শিরোনাম :
রাঙ্গাবালীতে স্লুইস গেট ভেঙ্গে অকেজো, পানির অভাবে দুই হাজার একর আমন ধান হুমকির মূখে,কৃষকের মাঝে হতাশা ধামরাইয়ে মাদ্রাসা শিক্ষক কর্তৃক ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ — এসআই জিয়াউর রহমানের দ্রুত অভিযানে শিক্ষক গ্রেপ্তার ও আদালতে প্রেরণ চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত চুয়াডাঙ্গায় এক রাতে প্রায় ৩০০ পেয়ারা গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা! বাগান মালিক নিঃস্ব, গ্রামজুড়ে কান্না ও ক্ষোভের ঝড় আনন্দঘন বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হলো দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা’র অষ্টম তম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান জলঢাকা ঝোরো বৃষ্টিতে আমন ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি বৈরী আবহাওয়া দু : চিন্তায় দিন গুনছে নীলফামারীর আলু চাষিরা ৮ নভেম্বর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহর কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নির্ভরতার প্রতীক মোঃ হায়দার খান নাগর ৩৫ বছর যাবত সেবামুখী নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে ঝিনাই নদীতে গোসল করতে গিয়ে পাঁচ বাচ্চার মর্মান্তিক মৃত্যু।

বৈরী আবহাওয়া দু : চিন্তায় দিন গুনছে নীলফামারীর আলু চাষিরা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ৩৩ বার পঠিত

আশীষ বিশ্বাস সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার:

নীলফামারীর জলঢাকা ডোমার ডিমলা কিশোরগঞ্জ বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টিতে আলু চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে জমিতে পানি জমে থাকায় অনেক স্থানে আলুর চারা নষ্ট হচ্ছে, আর বীজতলার বীজ আলু পঁচে যাওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এতে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার কৃষকরা। চাষিদের অভিযোগ, নভেম্বর শেষ দিক থেকেই আলু রোপণের উপযুক্ত সময় হলেও এ বছর অনিয়মিত আবহাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবে চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। টানা বৃষ্টিতে নিম্নাঞ্চলের জমিগুলোতে পানি জমে থাকা ও ডুবে যাওয়ায় বহু জায়গায় চারা পচে যাচ্ছে। জেলার সদর, কিশোরগঞ্জ, জলঢাকা, ডোমার ও ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানিয়েছেন, বৃষ্টি না থাকলে কয়েক দিনের মধ্যেই জমি চাষ করে নতুন করে রোপণ সম্ভব হতো। কিন্তু এখন জমিতে পানি নামতে আরও সময় লাগবে, ফলে উৎপাদন ব্যয়ও বেড়ে যাবে। সদরের বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে দেখা গেছে, উঁচু এলাকার আলুর জমিতে পানি না জমলেও চাষিরা ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন। সদরের রামনগর ইউনিয়নের আলু চাষি মাজেদুল ইসলাম জলঢাকার আলু চাষী শ্রী মহেশ চন্দ্র রায় জানান, “আগাম আমন ধান কেটে জমিতে আলু চাষ করেছি। বীজ বাদে সার, কীটনাশক ও মজুরি মিলিয়ে প্রতি বিঘায় প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে কী যে হবে বুঝতে পারছি না।” একই এলাকার চাষি নুর মোহাম্মদ বলেন, “আগাম ধান চাষে সুবিধা না পেলেও আলু চাষে ভালো লাভের আশা করেছিলাম। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় সব স্বপ্নই এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।” স্থানীয় সুশীল সমাজের একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে –বলেন, “উত্তরাঞ্চলের এই জেলা কৃষিনির্ভর। তাই সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জরুরি সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।” সার, কীটনাশক ও শ্রমমূল্যের লাগামহীন দাম, তার সঙ্গে আলুর অনিশ্চিত বাজারমূল্য—সব মিলিয়ে নীলফামারীর কৃষকদের স্বপ্নের চাষাবাদে এখন ছায়া ফেলেছে বৈরী প্রকৃতি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com