চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে এক প্রবাসীর স্ত্রী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার সন্ধ্যায় বোয়ালখালী পৌরসভার মীরপাড়া নুরজাহান ম্যানশনের রোকিয়া আকতারের ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রাতেই ধর্ষিতা প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. কামাল হোসেন(৪২),পিতা মো. বদিউল আলম, মো. গিয়াস উদ্দিন(২৮), পিতা মো. নুরুল ইসলাম উভয় সাং পূর্ব গোমদন্ডী মীর পাড়া ও রোকিয়া আকতার,স্বামী আবুল বশর খিতাপচর জব্বার সওদাগর বাড়ী, সারোয়াতলী।
এ ঘটনার খবর পেয়ে রবিারর ১লা আগষ্ট সকালে চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক (পিপিএম) ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসীর স্ত্রীর ৭ মাসের কন্যা সন্তানটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ৩১ জুলাই বিকেলে উপজেলা সদরের হাসপাতালের সামনে একটি ফার্মেসী থেকে ঔষধ কেনার জন্য আসেন। ওই সময় তার পূর্ব পরিচিত রোকেয়া বেগেমরে কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ধার নেয়ার জন্য ফোন দেন। রোকিয়া বেগম প্রবাসীর স্ত্রীকে তার বসায় যেতে বলেন এবং রফিক নামের এক ব্যক্তিকে পাঠিয়ে তার বাসায় নিয়ে যান। এ সময় ধর্ষণকারী কামাল ও গিয়াস রোকেয়ার বাসায় আসে তারা রোকেয়া বেগেমের সহায়তায় জাহান ম্যানসনের খালি রুমের ভিতর নিয়ে গিয়ে তার মুঠোফোনটি কেড়ে নেয়ার চেষ্টাকালে বাধা দিলে রোকিয়া বেগম তাকে চড়তাপ্পর মেরে রুম থেকে বের হয়ে বাইরে থেকে দরজার সিটকানি লাগাইয়া দেয়। ওই সময় কামাল ও গিয়াস তাকে রুমের ভেতর জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ সময় ধর্ষিতার শোর-চিৎকার শুনে পাশের বাড়ীর জনৈক সাইফুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি এগিয়ে আসলে তার সহায়তায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়ে ধর্ষিতা বোয়ালখালী থানায় আসেন।
তবে গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত আসামীরা ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এটা পরিকল্পিত। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নন। ওই বাসায় বহিরাগত লোক অসমাজিক কার্যকলাপ করছে খবর পেয়ে তারা যান এবং তারা ওই নারীকে চড় থাপ্পর মারেন। এর পর ওই নারী তাদের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ আনেন।
এ ঘটনার বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পটিয়া সার্কেল) মো. তারিক রহমান দি বাংলাদেশ টুডে কে বলেন,পুলিশের পক্ষ থেকে মামলাটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী একজন পলাতক রয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম দি বাংলাদেশ টুডে কে বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে এবং তাদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে, ধর্ষিতাকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে।