শিরোনাম :
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে গণভোটই সমাধান : সাবেক মন্ত্রী এম. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ খুনের মামলার দুই আসামি গ্রেফতার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কারা হাসপাতাল এখন রোল মডেল বরগুনা-১ আসনে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত এ্যাড. মোঃ রেজবুল কবির…! নবীনগরে পুকুর থেকে কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্বার আগামীতে শহীদ জিয়ার দল বিএনপিই সরকার গঠন করবে – জনসভায় এস এ সিদ্দিক সাজু শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে গোপালপুরে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত গলাচিপায় নদী ভাঙনে সড়ক বিলীন হওয়ার শঙ্কায় মানববন্ধন বিজিএমইএ ও স্ট্যানলি স্টেলার বৈঠক: টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতায় অঙ্গীকার রাঙ্গাবালীতে দশ দিনব্যাপী আনসার-বিডিপি প্রশিক্ষণ চলছে

ভএক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অন্য প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়ায় স্থানীয় মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৫
  • ৬৭ বার পঠিত

খন্দকার জলিল-স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খোজ খবর নিয়ে জানা যায় এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়ায় শিক্ষক, অভিভাবক এবং স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা যায় সরকারের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী ছয় মাসের জন্য এডহক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের আওতায় সম্প্রতি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে দূরের অন্য এলাকার আরেকটি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ পেতেই স্থানীয় মহলে ক্ষোভ ও বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, যিনি সভাপতি হয়েছেন তার নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান সন্তোষজনক নয়, এমনকি এবারের পরীক্ষার পাশের হারও ছিল তুলনামূলক কম। ফলে সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে—যেখানে নিজ প্রতিষ্ঠানেই কাঙ্ক্ষিত সাফল্য আসছে না, সেখানে অন্য প্রতিষ্ঠানের শিকার মান উন্নয়নে তার ভূমিকা কতটা ফলপ্রসূ হবে?

শিক্ষকদের মধ্যে অনেকেই মনে করছেন, একজন শিক্ষক হয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে এসে খবরদারি করছেন তাকেই খবরদারি করছে অন্য কেউ। অন্য কোথাও খবরদারি করতে গেলে তার মূল কর্মক্ষেত্রেও তো ব্যাঘাত ঘটতে পারে।

এ ধরনের পদক্ষেপ শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ ও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি করছে এবং তা শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে ফেলেছে।

অনেকে মনে করছেন, এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীদের মনোবলও ভেঙে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে পাশের হারে প্রতিফলিত হতে পারে।

এদিকে, ছয় মাসের জন্য ঘোষিত এডহক কমিটির মেয়াদ অনেক প্রতিষ্ঠানে শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু নতুন কমিটি গঠন না করায় সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে—ছয় মাসে কি করে প্রায় এক বছর সময় কেটে যায়? এতে স্বচ্ছতা, সুশাসন এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

স্থানীয়রা বলছেন, নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করেও একই কমিটি দায়িত্বে থাকা মূলত নিয়ম ভঙ্গের শামিল এবং এর ফলে প্রতিষ্ঠানগুলো সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিচ্ছে।

এলাকার সচেতন মহল মনে করেন, এলাকায় বিভিন্ন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক এবং কর্মকর্তা রয়েছেন, অভিভাবকের মধ্যে অনেক শিক্ষিত লোক রয়েছেন তাদের মধ্য থেকে বাছাই করে কমিটি গঠন করা হলে কারো কোনো রেশ থাকত না।  

অভিভাবকরা মনে করছেন, স্থানীয় শিক্ষিত যোগ্য ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্য থেকে সভাপতি নির্বাচন করা হলে কোনো ধরনের কোন্দল বা বিতর্কের সৃষ্টি হতো না। তারা আরও বলছেন, অনেক প্রতিষ্ঠানেই সুনামধন্য ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও এক এলাকার লোক অন্য এলাকায় এনে সভাপতি করায় নিজ এলাকার অভিভাবকদের বিদ্যালয়ের প্রতি আস্থা কমে যাচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নয়নের বদলে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে।

শিক্ষা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেতৃত্বের ক্ষেত্রে স্থানীয় অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত না করলে এর প্রভাব পড়বে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের ওপরও। এজন্য সময়মতো যোগ্য নেতৃত্ব বাছাই এবং নিয়ম মেনে কমিটি গঠন অপরিহার্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com