খন্দকার জলিল : স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর সাগরে ভরা মৌসুমেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মিলছে না। প্রতিদিন জাল ফেলে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের। এতে একদিকে যেমন মাথায় হাত পড়েছে জেলেদের, অন্যদিকে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা ও হাহাকার।
মাছ শিকারের মৌসুমে সমুদ্রের দিকে হাজারো নৌকা পাড়ি জমাচ্ছে। কিন্তু দিনের পর দিন জাল ফেলে প্রত্যাশিত ইলিশ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন তারা। জাল, নৌকা, জ্বালানি ও শ্রমের খরচ বহন করতে গিয়ে ঋণের বোঝা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। অনেক জেলে কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে নেওয়া ঋণ শোধ করতেও হিমশিম খাচ্ছেন।
জেলেরা অভিযোগ করছেন, গভীর সমুদ্রে অনুকূল আবহাওয়া থাকা সত্ত্বেও ইলিশের দেখা মিলছে না। এতে তাদের জীবিকা সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। পরিবারের ভরণপোষণও যেন হয়ে উঠছে দুঃসাধ্য।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুন্নবী বলেন, “ইলিশ ধরা না পড়ার বিষয়টি সাময়িক। প্রাকৃতিক পরিবেশ, জোয়ার-ভাটা ও আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ইলিশের গতিপথে প্রভাব পড়তে পারে। তবে আশা করা হচ্ছে, যেকোনো সময়ই সাগরে ইলিশ ধরা শুরু হবে।”
এদিকে মাছ না পেয়ে ঋণগ্রস্ত ও হতাশাগ্রস্ত জেলেদের জীবনে নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা। ভরা মৌসুমে ইলিশের অভাব পুরো উপকূলীয় অর্থনীতিতেও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
সাধারন ক্রেতার কাছে ইলিশ হয়ে উঠেছে সোনার হরিণ। সাগরে মাছ ধরা না পড়ায় মাছের মূল্য আকাশ ছুঁয়েছে। এক কেজির বেশি ওজনের মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮শত টাকা কেজি।