ডা. কবির সোহেল ও ডা. আশিকুর রহমান অনিক
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মোঃ শাকিল খান রাজু।।
মেঘনার বুকে জেগে ওঠা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ভোলার মনপুরা। প্রত্যন্ত এই উপজেলায় থেকে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, নিরলসভাবে লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন দুই মানবিক চিকিৎসক—উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির সোহেল ও তরুণ চিকিৎসক ডা. আশিকুর রহমান অনিক। নিঃসন্দেহে তারা এই সময়ের নীরব নায়ক।
প্রতিদিন গড়ে ২৫০-৩০০ জন রোগী আউটডোরে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন। পাশাপাশি ভর্তি থাকেন আরও ৫০-৬০ জন রোগী। জায়গা স্বল্পতায় হিমশিম খেলেও কখনো বিরক্তির ছায়া ফুটে ওঠে না তাদের মুখে। দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষারত রোগীদের ধৈর্য আর ডাক্তারদের প্রতি আস্থাই প্রমাণ করে, সাধারণ মানুষ কতখানি ভালোবাসেন তাদের।
চিকিৎসা শুধু পেশা নয়—বরং দায়িত্ব ও মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছেন তারা।
একান্ত আলাপচারিতায় ডা. আশিকুর রহমান অনিক বলেন
“মনপুরায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলে অত্যাধুনিক রোগ নির্ণয় যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাঘব করা যেত।
কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন—মনপুরায় নেই নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ, নেই আধুনিক আবাসিক সুযোগ, যোগাযোগ ব্যবস্থাও অত্যন্ত সীমিত। তবুও প্রতিদিন দীর্ঘ লাইনই প্রমাণ করে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা তাদের প্রতি কতখানি।
চিকিৎসকদের সংকট সমাধান, স্বল্পমূল্যে রোগ নির্ণয়ের ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অবহিত করে আসছেন ডা. কবির সোহেল। তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে মনপুরার স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা।
মানবিকতা, নিষ্ঠা ও অক্লান্ত পরিশ্রমে ডা. কবির সোহেল ও ডা. আশিকুর রহমান অনিক মনপুরার স্বাস্থ্যসেবাকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছেন—যা নিঃসন্দেহে এক অনন্য দৃষ্টান্ত।