মাছ ধরার জালে উঠে এলো দিনমজুর জামাল শিকারির লাশ
মানজারুল ইসলাম মিলন - স্টাফ রিপোর্টার।
শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার কাজির হাট ডুবিসায়বরে জেলের মাছ ধরার জালে ভেসে উঠলো জামাল শিকারী (২৬) নামের এক দিনমজুরের লাশ।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুর দুইটার দিকে জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউনিয়নের কীর্তিনাশা নদীতে একদল ভাসমান জেলের জালে লাশটি উঠে আসে জেলেরা দেখতে পেয়ে পুলিশকে অবহিত করেন। জামাল শিকারী নড়িয়ার নাসাশন ইউনিয়নের ডগ্রী বাজার এলাকার মৃত রতন শিকারীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন এ ঘটনায় একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকায়বাসী আটককৃত ব্যক্তির নাম বাবুল বেপারী (২৫) তিনি পূর্বনাওডোবা ইউনিয়নের মঙ্গলখার কান্দি গ্রামের জলিল বেপারীর ছেলে।জানা যায়,জামাল শিকারী পেশায় একজন দিনমজুর ছিলেন। বাবা মা মারা যাবার পরে তিনি একেক সময় একেক জায়গায় থাকতেন।তবে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি কাজিরহাটের ডুবিসায়বর এলাকায় কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করতেন। অধিকাংশ সময় বাড়ির বাইরে থাকতো বলে যানা যায়। এবং মাদকাসক্ত ছিলো বলে এলাকাবাসী জানায় আজ দুপুর দুইটার সময় একদল ভাসমান জেলেরা কাজিরহাট কীর্তিনাশা নদীতে মাছ ধরার জন্য জাল ফেললে হঠাৎ তাদের জালে জামাল শিকারীর লাশ ভেসে উঠে। লাশ ভেসে উঠেছে এমন খবরে আশেপাশের লোকজন নদীর পাড়ে এসে ভিড় জমায়। বিষয়টি নৌ পুলিশকে অবহিত করলে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করে জামাল শিকারীর ভাই কামাল শিকারী বলেন, আমার ভাই জামাল শিকারির মরদেহ পাওয়া গেছে। তাকে হত্যা করে পানিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, তাদের খুঁজে বের করে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।
নিহত জামাল শিকারীর ভাবী করিমন বেগম বলেন, গতকাল রাতেও আমার দেবর বাড়িতে এসে ভাত খেয়ে গেছে। আমি রাত নয়টার দিকে শুনেছি তার সাথে কারো মারামারি হয়েছে। আমি ঐখানে গিয়ে তাকে খোজাখুজি করেও পাই নি। তখন থেকেই জামাল নিখোজ ছিলেন। আমার দেবরকে কেউ মেরে নদীতে ফেলে গেছে। আমি পুলিশের কাছে দাবী করছি এ ঘটনায় দোষীদের খুজে শাস্তি দেওয়া হোক মাঝিরঘাট নৌ পুলিশের পরিদর্শক মোঃ জসিম উদ্দিন বলেন, কাজীরহাট এলাকার নদীতে একজনের মরদেহ ভেসে এসেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। কেউ যদি অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।