বগুড়ার গাবতলীর চাঞ্চল্যকর শিশু হানজালা হত্যার রহস্য উদঘাটন ও একমাত্র আসামি মজনু মিয়াকে (৩৪) গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। মজনু গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর নিশুপাড়া এলাকার আব্দুল জব্বার প্রামাণিকের ছেলে। মাদক সেবনের টাকা সংগ্রহ ও স্বল্প সময়ে নিজের আর্থিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্যই শিশু হানজালাকে অপহরণ করে হত্যা করা হয় বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে আসামি মজনু মিয়া।
হানজালা রামেশ্বরপুর নিশুপাড়ার পিন্টু মিয়ার দ্বিতীয় পুত্র। শুক্রবার রাতে নিজ কার্যালয়ে পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম বার প্রেস ব্রিফিংএ একথা বলেন।
তিনি বলেন, আসামি মজনু মিয়া ওই এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী। হানজালাকে অপহরণ করে হত্যা করার জন্য ঘটনার ২০ দিন আগে পরিকল্পনা করে। গত ১৩ ডিসেম্বর মজনু শিশু হানজালাকে তার ওষুধের দোকানে ডেকে নেয়। এরপর সে শিশুর হাতে মোবাইল ফোনটি দেয়। শিশু মোবাইল নিয়ে খেলার সময় শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করে। এরপর হানজেলার লাশ বড় পলিথিনে স্কসটেপ দিয়ে মুড়িয়ে মমির মতো করে ইট দিয়ে দোকানের অদূরে পুকুরে লুকিয়ে রাখে। ঘটনার কয়েকদিন পরেও হানজালার লাশের সন্ধান না হলে ৬ দিন পর ১৯ ডিসেম্বর একজন ভিক্ষুকের আইডি কার্ড ও আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে একটি সিম ও মোবাইল ক্রয় করে। পরে ওই নাম্বার থেকে হানজালার মাকে ফোন দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করে। এরপর গত ২১ ডিসেম্বর সে নিজেকে অপহরণ চক্রের সদস্য পরিচয় দিয়ে হানজালার পরিবারকে তার লাশ কোথায় রাখা আছে জানায়। এরপর বিভিন্নভাবে চেষ্টার পর মজনুকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।