মোঃ বাবুল স্টাফ রিপোর্টার
একজন চৌকস, নীতিনিষ্ঠ ও সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা—ওসি হাফিজুল ইসলাম হারুন। সম্প্রতি ময়মনসিংহ জেলায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের এক আদেশে একসাথে ৬ ওসির বদলি হয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছিল সর্ব মহলে। গত কয়েকদিন হয় হালুয়াঘাট থানায় নতুন অফিসার ইনচার্জ হিসেবে যোগ দিয়েছেন হাফিজুল ইসলাম হারুন।
এই কয়দিনে তাঁর কর্মদক্ষতা, সৎ মনোভাব ও দূরদর্শী পরিকল্পনার মাধ্যমে এলাকাবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিচ্ছেন তিনি। মাদক, দালালচক্র এবং দীর্ঘদিনের দুর্নীতিগ্রস্ত প্রশাসনিক অনিয়মের বিরুদ্ধে তাঁর জিরো টলারেন্স নীতির কারণে স্থানীয়দের মাঝে ফিরে আসবে নিরাপত্তা ও আস্থার নতুন বাতাস।
ওসি হাফিজুল ইসলাম হারুন যোগদানের পর সাংবাদিকদের বলেন, “অপরাধী যত বড়ই হোক, কোনো ছাড় নেই। মাদক, দালালচক্র ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানাকে জনবান্ধব, স্বচ্ছ ও ন্যায়ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করাই আমার মূল লক্ষ্য।” থানার প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সততা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন।
বর্তমানে দেশের অন্যতম প্রধান সামাজিক সমস্যা মাদক। ওসি হারুন একে সমাজ ধ্বংসকারী ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত করে এর বিরুদ্ধে শুরু করেছেন বিশেষ অভিযান।
ওসি হারুনের এই সাহসিকতায় এলাকার মানুষ এক ধরনের নিরাপত্তাবোধ অনুভব করছেন।
থানা এবং বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে দালালচক্রের দৌরাত্ম্য নতুন কিছু নয়। এদের প্রভাবেই সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হন, বিচার বঞ্চিত থাকেন। এই দালালদের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত চালু করবেন শুদ্ধি অভিযান।
ওসি হারুন থানার ভেতরেই প্রতিষ্ঠা করেছেন নতুন শৃঙ্খলা। যে কোনো অভিযোগ বা জিডির ক্ষেত্রে কোনো ঘুষ বা অপ্রত্যাশিত অর্থ দাবি করা হলে সরাসরি ওসিকে জানাতে বলা হয়েছে। জনসাধারণ সরাসরি তাঁর মোবাইল নাম্বারে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারেন।
থানার কর্মকর্তাদের সময়মতো দায়িত্ব পালন, ইউনিফর্ম পরে উপস্থিত থাকা, এবং জনগণের সঙ্গে ভদ্র আচরণ নিশ্চিত করতে ওসি হারুন নিয়মিত তদারকি করছেন।
এ ছাড়াও চালু করেছেন নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্ক, যাতে নারীরা নিরাপদে অভিযোগ জানাতে পারেন।
ওসি হারুনের এসব পদক্ষেপে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক প্রশংসা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ যেমন স্বস্তি প্রকাশ করছেন, তেমনি অপরাধীরা পড়েছেন চাপে। অনেকেই বলছেন, “এমন কর্মকর্তাই আমাদের প্রয়োজন।
একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতায় একটি এলাকা, একটি থানা ও একটি সমাজকে বদলে দিতে পারে
তাঁর এই দৃঢ় অবস্থান ও ইতিবাচক পদক্ষেপ চলমান থাকলে অচিরেই এই থানা হবে দেশের একটি আদর্শ ও জনবান্ধব প্রশাসনিক মডেল।
স্থানীয়,আব্দুল মালেক ও রুপালি আক্তার জানান, হালুয়াঘাট থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে। কর্মরত নতুন অফিসার ইনচার্জ হাফিজুল ইসলাম হারুন তার অফিসে বসিয়ে আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অভিযোগগুলো শুনে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে তার অফিসারদের বলে দেন।