মাদারীপুর প্রতিনিধি’জাতীয় নাগরিক পার্টির মাদারীপুরের সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আব্দুর রহিমের রেস্টুরেন্টের ভেতর খুপড়ি ঘরের ভেতর এক যুবতির সাথে অঙ্গরঙ্গ মুহুর্তের একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ৪৯ সেকেন্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। এক সপ্তাগ আগের ঘটনার হলেও সোমবার রাতে কেলেঙ্কারি চিত্র সামনে আসে। এরপর পরই জেলাজুড়ে শুরু হয় সমলোচনা। বিচার দাবি করা হয়েছে সচেতন মহলের পক্ষ থেকে।
জানা যায়, এনসিপি’র মাদারীপুর জেলা কমিটির সদস্য আব্দুর রহিম রেস্টুরেন্টের ভেতর এক যুবতির সাথে অঙ্গরঙ্গ মুহুর্ত লিপ্ত হন। যা গোপনে মোবাইলে ধারণ করেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। ভিডিও সোমবার দিনব্যাপী বিভিন্ন ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ ও হোয়াইঅ্যাপ গ্রুপে ছড়িয়ে পড়ে। পরে রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফাঁস হয়। মুহুর্তেই ভাইরাল হয় এনসিপি নেতার এই কেলেঙ্কারির ভিডিও। পরে নিজের ফেসবুকে কাবিননামার এককপি ছবি আপলোড করে ওই নারীকে নিজের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন আব্দুর রহিম। সেখানে তিনি লিখেন, বিয়ের পর ৪ বছর ধরে সংসার করেছি ওই মেয়ের সাথে। তাকে নিয়ে একটু নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটান তিনি। ব্যক্তিগত আক্রাশের কারনে সেই ভিডিও কেউ ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয় তার প্রতিপক্ষ। এরপর বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে গণমাধ্যমকর্মীরা। তবে, ভিডিও ধারণ করা ক্লিপের সাথে আব্দুর রহিমের স্ত্রীর কোন মিল নেই। মেয়েটি অন্যকেউ। তার প্রমানও মিলেছে। বিষয়টি একাধিক মাধ্যম থেকে নিশ্চিতও হওয়া গেছে।
পরবর্তীতে কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রহিমের স্ত্রীর নাম সুরাইয়া আক্তার। আব্দুর রহিমের স্ত্রী হিসেবে সুরাইয়া এখনো রয়েছেন। রেস্টুরেন্টে থাকা মেয়েটির খোঁজ পেয়েছে গণমাধ্যমকর্মীরা। রেস্টুরেন্টে থাকা মেয়েটির নাম লামিয়া আক্তার। প্রকাশ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতার এমন কর্মকান্ডে জেলাজুড়ে চলছে আলোচনা ও সমলোচনা।
এ ব্যাপারে জাতীয় নাগরিক পার্টির মাদারীপুরের সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা আব্দুর রহিমের সাথে কথা বলে প্রথমে বিয়ষটি এড়িয়ে যান। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নে আটকে গেলে তিনি বলেন,‘সত্যি কথা বলছি ভাই রেস্টুরেন্টে থাকা মেয়েটি আমার বিবাহিত স্ত্রী নন। আমার বর্তমান স্ত্রীর সাথে একটু ঝামেলা চলছে, তাকে তালাক দেয়ার কথাও হচ্ছে। রেস্টুরেন্টে থাকা মেয়েটি আমার পূর্বপরিচিত। আমার ভুল হয়েছে, ছোটভাই হিসেবে মাফ চাই। প্লিজ নিউজ বা কোন সংবাদ এ ব্যাপারে প্রচার কইরেন না। আমি আপনাদের ছোটভাই।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির মাদারীপুর জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ হাসিবুল্লাহ বলেন, ‘আব্দুর রহিমের ঘটনাটি তার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। মেয়েটি তার স্ত্রী কিনা সেই ব্যাপারে সংগঠন খোঁজখবর নিচ্ছে। দোষ পেলে সাংগঠনিকভাবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির মাদারীপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘আব্দুর রহিমের এই বিষয়টি আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। তার ব্যক্তিগত কোন দোষ বা দায়ভার দল নিবে না। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
Leave a Reply