মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে শোক দিবস পালন
যথাযোগ্য মর্যাদায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। রোববার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় দিবসের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে জাতির জনক ১৫ আগস্টের শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। আলোচনায় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোওয়ার এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক ঘটনা এবং কলঙ্কময় দিন। জাতির পিতা সারাটা জীবন জেল, জুলুম ও অত্যাচার উপেক্ষা করে তার অসাধারণ অসামান্য বীরোচিত নেতৃত্বগুণে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে বিনির্মাণে তার বুদ্ধিদীপ্ত সংগ্রামমুখর জীবনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যাবতীয় প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বহির্বিশ্বে স্বাধীন বাংলাদেশকে নিরপেক্ষ, শান্তিকামী ও উন্নয়নমুখী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে হত্যা করার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের গতিধারা রুদ্ধ হয় এবং স্বাধীনতার মূল চেতনা থেকে জাতিকে বিচ্যুত করার অপচেষ্টা করে/
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তিন পুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসের, কৃষক নেতা আব্দুর রব সেরবিয়াবাত, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি, বেবী সেরনিয়াবাত, সুকান্ত বাবু, আরিফ, আব্দুল নঈম খান রিন্টুসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে করে/
বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরা। সরকারঘোষিত লকডাউনের কারণে স্মরণসভা ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে পালিত হয়।
জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় জীবনের ওপর আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনারসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ করেন।
Leave a Reply