প্রতিবেদন: নিজস্ব প্রতিনিধি
একটি নাম, যা শুধুই একটি মানুষের পরিচয় নয়—এটি একটি প্রতীক, একটি অনুপ্রেরণা, একটি সংগ্রামের মহাকাব্য। **জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন**, মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার বুকে জন্ম নেওয়া এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি শুধু একজন প্রথিতযশা দলিল লেখক বা দক্ষ আমিন নন—তিনি সময়ের শাণিত এক সৈনিক, আদর্শের পাহারাদার, যাঁর জীবনগাঁথা হয়ে উঠেছে তরুণ প্রজন্মের জাগরণের আলো।
তিনি রাজনীতিকে কখনো ব্যবহার করেননি নিজের স্বার্থে, বরং নিজেকে উৎসর্গ করেছেন রাজনীতির বিশুদ্ধতা রক্ষায়। **বিএনপির ঝড়ঝাপ্টা, নিপীড়ন আর অন্ধকার দিনে** তিনি ছিলেন আলোর মতো অবিচল। জেল, নির্যাতন, অপমান—সবকিছু তাঁর পায়ে শৃঙ্খলের মতো জড়িয়ে থেকেছে, কিন্তু তিনি কখনো মাথা নত করেননি, কখনো আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি।
জীবনের আরাম আয়েশ, পারিবারিক শান্তি, এমনকি নিজের স্বপ্নকেও বিসর্জন দিয়েছেন** কেবল একটি বিশ্বাসে এই দেশ একদিন আবার মানুষের হবে, এই দল একদিন সঠিক পথে ফিরবে, আর এই জাতি একদিন সত্যিকারের নেতৃত্ব পাবে।
তাঁর জীবন কেবল রাজনীতির বাঁকে বাঁকে রক্তঝরা গল্প নয় এটি একজন মানবিক হৃদয়ের কাহিনি, যিনি দুঃসময়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিনা স্বার্থে, বিনা প্রচারে।
যখন মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, তখন তিনি পাশে দাঁড়িয়েছেন। যখন অনেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে, তখন তিনি বুক পেতে দিয়েছেন। যখন সমাজ স্বার্থ দেখে সম্পর্ক গড়ে, তখন তিনি ভালোবেসেছেন নিঃস্বার্থভাবে।
আজো তাঁকে দেখা যায় বিএনপির পতাকা বুকে আগলে রাখতে—চোখে স্বপ্ন, মুখে দৃঢ়তা, আর হৃদয়ে ত্যাগের দীপ্ত সুর। তিনি আজও হাঁটেন—কিন্তু শুধুই নিজের জন্য নয়, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এক আদর্শ রেখে যাওয়ার প্রত্যয়ে।
তিনি মানুষ নন, তিনি এক জীবন্ত ইতিহাস,
একটি সমাজ কীভাবে গড়ে ওঠে একজন মানুষের অবদানে—তা বোঝার জন্য **মোঃ ইকবাল হোসেন**-এর জীবন যেন একটি পাঠ্যপুস্তক।
কিভাবে দল-মত-স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে সত্যের পাশে দাঁড়াতে হয়। কিভাবে আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে হাজারো বিপদেও ভেঙে না পড়া যায়। কিভাবে নেতৃত্ব মানে শুধু ক্ষমতা নয়, মানুষের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি তিনি তার প্রতিটি প্রমাণ।
মিজমিজি দক্ষিণপাড়া, আমজাদ মার্কেট, ২ নং ওয়ার্ডের অহঙ্কার জনাব মোঃ ইকবাল হোসেন তিনি শুধু একজন মানুষ নন, তিনি সময়কে ছুঁয়ে যাওয়া এক মাইলফলক। যাঁর নাম ইতিহাসের পাতায় নয়, **মানুষের হৃদয়ের গভীরে লেখা থাকবে চিরকাল।