স্টাফ রিপোর্টার: সৈয়দ উসামা বিন শিহাব
রাজধানীর মিরপুর ১০, ১১, পূরবী ও ১২ নম্বর এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অনুমতি ছাড়াই এসব রিকশা রাস্তায় অবাধে চলাচল ও পার্কিং করে আসছিল। এর ফলে প্রতিদিনই যানজট, দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ব্যস্ত সড়কে সারিবদ্ধভাবে রিকশা দাঁড়িয়ে থাকার কারণে গুরুত্বপূর্ণ মোড়, বাসস্ট্যান্ড ও বাজার এলাকায় গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হচ্ছিল। বিশেষ করে অফিস সময়ে সড়কে অতিরিক্ত চাপ পড়লে যানজট ঘন্টার পর ঘন্টা স্থায়ী হতো। এর সঙ্গে যোগ হতো রিকশাচালকদের অসচেতনভাবে ঘুরে পড়া, উল্টোদিক থেকে আসা বা যত্রতত্র যাত্রী তোলা— যা দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়িয়ে দিত।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অনেক চালক পার্কিং বা চলাচলের জন্য নির্ধারিত কোনো নিয়ম মানছেন না। রাস্তার ওপরেই দলবদ্ধভাবে রিকশা দাঁড় করিয়ে যাত্রী অপেক্ষা করে থাকে। এতে করে সাধারণ পথচারী, অফিসগামী মানুষ, স্কুলের শিক্ষার্থী এমনকি জরুরি রো*গীবাহী অ্যাম্বুলেন্সও প্রায়ই আটকে পড়ে। এতে জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। ইতোমধ্যে এলাকাভিত্তিক বিশেষ টিম গঠন করে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যেখানে রিকশাগুলো অবৈধভাবে রাস্তা দখল করছে বা পার্কিং করছে, সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে উচ্ছেদ ও জব্দের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, “মিরপুর অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশার অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও অবৈধ পার্কিং একটি বড় সমস্যা। আমরা ধাপে ধাপে এসব নিয়ন্ত্রণে আনছি। প্রথমে সতর্ক করা হয়েছে, এরপর অভিযান চলছে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এলাকাবাসী প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা মনে করছেন, যদি এই অভিযান ধারাবাহিকভাবে চালানো হয়, তাহলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরবে, যানজট কমবে এবং দুর্ঘটনার হারও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। একই সঙ্গে জনসাধারণের চলাচল আরও স্বস্তিদায়ক হবে।