একদিকে প্রচন্ড খরতাপ অন্যদিক বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জামালপুর জেলা মেলান্দহ উপজেলার সাধারণ মানুষ। ঘন্টায় ঘন্টায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার লুকোচুরি খেলায় চরম বেকায়দায় পড়েছেন মানুষজন।

বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে খানিকটা ব্যাহত হচ্ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই মেলান্দহ উপজেলায় এমন প্রচন্ড খরতাপ বিরাজ করছে। যে কারণে ভ্যাপসা গরমে মানুষের জীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।

অপরদিকে গত কয়েকদিন ধরে বাড়ছে লোডশেডিং। ঘন্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং এর কারনে ছোট ছোট কারিগর প্রতিষ্ঠান মিল গুলো ঠিকমতো কাজ পরিচালিত হচ্ছে না। শ্রমিকরা কাজে আসলেও বিদ্যুতের অভাবে শ্রমিকদের বসে থাকতে হচ্ছে। অপরদিকে সন্ধ্যার পর এ অবস্থা আরো কঠিন আকার ধারণ করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৮ থেকে ১০ ঘন্টায় বিদ্যুৎ থাকে না। শিক্ষার্থীরা যেমন লেখাপড়া করতে পারছে না তেমনি বয়স্ক লোকজন প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। হাসপাতাল ক্লিনিক গুলোতে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে।

পল্লী বিদ্যুতের বিদ্যুৎ সরবরাহে চলছে চরম ভেলকিবাজি। বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে এমন ভেলকিবাজি। বিশেষ করে গত কয়েদিন ঘনঘন লোডশেডিংয়ে ও প্রচন্ড- গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন মেলান্দহ উপজেলার ছোট-বড় বয়ষ্ক শ্রমজীবী মানুষ। দিন রাত এ লোডশেডিংয়ে মেলান্দহ উপজেলা সহ গ্রামঅঞ্চলের শিশু ও বৃদ্ধ মানুষ অসহ্য যন্ত্রণায় রয়েছে। মধ্যরাতের লোডশেডিংয়ে প্রচন্ড গরমে ঘরে ঘরে শোনা যায় শিশুদের কান্নার আওয়াজ। এ নিয়ে জনমনে ক্ষোভের সষ্টি হয়েছে।

মেলান্দহ বিদ্যুৎ অফিস কর্মকর্তারা বলেন,ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব আত্মর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে খানিকটা ব্যাহত হচ্ছে। মেলান্দহ পৌরসভার আনোয়ার হোসেন (মানু) বলেন, এত লোডশেডিং আর ভালো লাগেনা গরমে ছোট বাচ্চা ও বয়স্ক লোকদের কষ্ট আর দেখে ভালো লাগছে না।

এ বিষয়ে মেলান্দহ পল্লী বিদ্যুৎ ডি,জি,এম নুরুল আমিন দ্রুত সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।