মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা ৯নং ইসলামপুরের উত্তর কানাইদেশী সহ অন্যান্য গ্রামে গরীব , অসহায় মহিলাদের মাঝে বাড়ছে তাতঁ শিল্পের ব্যবহার ৷ গ্রাম অঞ্চলের মহিলারা জীবিকা অর্জনের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন তাতঁ শিল্প ৷ অনেকেই মনে আগ্রহ নিয়ে শিখতেছেন এই শিল্পের কাজ ৷ বিশেষ করে নকশা করা ১২ হাত মনিপুরী শাড়ি, নকশি ওড়না, মনোহারী ডিজাইনের শীতের চাদর বাঙালি মহিলাদের সৌখিন পরিধেয় ইত্যাদি ৷ সরেজমিনে, আলাপ কালে উত্তর কানাদেশী গ্রামের (নতুন বাজার) মোছাঃ আয়শা আক্তার বলেন , গত বছর জানুয়ারী হতে প্রায় একবছর যাবত আমি তাতঁ শিল্পের কাজ করতেছি ৷ প্রতি সপ্তাহে দুইটি হতে তিনটি শাড়ী বানানো যায় , এক সাথে ২০ টি — ৪০টি শাড়ী বানালে প্রায় ১০,০০০ হাজার টাকা খরচ হয় ৷ প্রতিটি শাড়ী বাজারে বিক্রি করা হয় ১২০০ —১২৫০ টাকা পর্যন্ত ৷ এতে আমাদের গরীব পরিবারের ছেলে মেয়ের পড়া লেখা খরচ সহ এই ইনকামেই সংসার চলে ৷ এমন এক সময় ছিল আমরা অভাব অনটনে জর্জরিত ছিলাম , তাতঁ শিল্পের কাজ শিখায় পরিবারের অভাব অনটন অনেকটা দুর হয়েছে।
এখন প্রায় প্রতিটি ঘরেই মেয়েরা তাতঁ শিল্পের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেছে ৷ অন্যান্য মহিলাদেরকেও এ কাজে আগ্রহ প্রদান করেছি ৷ আমার মতো প্রত্যেকেই যদি এই উদ্যোগ নেয় আমি মনে করি তাতঁ শিল্পকে অনেক দুর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব ৷ বাংলার তাঁত শিল্পের ইতিহাস বহু পুরনো। তাঁত শিল্প এর সুনাম ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বজুড়ে। বাংলার বনেদি ও প্রাচীন এই শিল্পের কদর রয়েছে আজও। বাংলার তাঁত নিজের জায়গা ধরে রেখেছে নিজের গরিমায়। বাংলাদেশের তাঁত শিল্পের ঐতিহ্য সর্বজনবিদিত ৷ তাঁতের পোশাক আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ ৷ তাঁত বস্ত্রের রয়েছে সোনালী ঐতিহ্য। হস্তচালিত তাঁত শিল্প বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কুটির শিল্প। প্রতিটি ঘরে মেয়েরা যদি তাতঁ শিল্পের কাজে মনোযোগী হয়, তাতঁ শিল্পের মাধ্যমে জীবিকার পথ বেছে নেয় তাহলে সমাজে দরিদ্রতা দূরিভূত হবে এবং বেকারত্ব দুর হবে ৷