শিরোনাম :
রাজশাহী মহানগর বিএনপির কমিটি ঘোষণা চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সঙ্গে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় গোমস্তাপুরে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস (২০২৫) পালিত কবি রিপন শানকে নিয়ে শব্দকুঠির ৭৭ তম জমজমাট আসর অনুষ্ঠিত নিয়াজ মুহাম্মদ খান সিএসপি যিনি ভালোবেসেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বিজয়নগরে বিজিবির বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ চোরাচালান পণ্য আটক। আখাউড়ায় উপজেলা দুই অটো গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে দম্পতি আহত তরজুমানুল কুরআন ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ‎অর্থসহ ৫০০ কপি কুরআন বিতরণ পঞ্চগড়-১ আসনে এলডিপির প্রার্থী অধ্যক্ষ আনিস প্রধান বর্ণাঢ্য আয়োজনে ফরিদগঞ্জে উপজেলা ও পৌর যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

যুব সমাজের অহংকার মোতাহার হোসেন প্রিন্সের কিছু অজানা কথা।

আব্দুর রাজ্জাক রাসেল, স্টাফ রিপোর্টারঃ
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৯ মার্চ, ২০২১
  • ১০২১ বার পঠিত

অন্য সবার মতো তিনি ছিলেন না। চলনে বলনে শৈশব থেকেই যেন একটু ব্যাতিক্রম। কিশোর বয়সের যে সময়টায় সবাই ব্যাক্তিগত প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি নিয়ে অভিমান-অনুযোগে ব্যস্ত সে সময়েই তিনি ব্যাক্তিগত গন্ডির বাইরে ভাবতে শিখেছিলেন। তার ভাবনার জগত বিস্তৃত হয়েছিলো পুরো দেশের জন্যেই। যেকোনো সমস্যাকে খুব গভীর দৃষ্টি দিয়ে দেখতেন,ভাবতেন সমস্যাগুলো থেকে উত্তরণের পথ। চলাফেরায় খুব শান্ত এই মানুষটির নাম এখন অবশ্য বাংলাদেশের অনেকেই জানেন, বিশেষ করে ছাত্রসমাজের কাছে তুমুল জনপ্রিয় এক মুখ। তিনি মোতাহার হোসেন প্রিন্স,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন মোতাহার হোসেন প্রিন্স।

খুব ছোটবেলা থেকেই তিনি গড়েছেন ভিন্ন এক অভ্যাস। আন্তজার্তিক সংবাদ মাধ্যম-বিবিসি, ভয়েস অফ এমেরিকা ইত্যাদি শুনতেন খুব আগ্রহ নিয়ে। এতে করে সমসাময়িক দেশ বিদেশের ঘটনাগুলো সম্পর্কে তিনি ওয়াকিবহাল ছিলেন। দেশের রাজনীতি কোন পথে আছে, কোথায় যাচ্ছে সে সম্পর্কে সজাগ নজর ছিলো প্রিন্স এর। বাবার মুখে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনতেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগের কথা শুনতেন। ছোট্ট প্রিন্স এর মনে গভীর মমতা বাসা বাঁধল। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক লেখা পড়েছেন, দেখেছেন অসংখ্য প্রামাণ্য চিত্র। এইসবই তার মনে গভীর দাগ কেটে যায়। দেশের প্রতি দায়িত্বের তাড়নায় পেয়ে বসে তাকে। জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে। সেই বাগেরহাটের ছোট্ট ভাবুক ছেলে এখন রাজনীতির রাজপুত্র মোতাহার হোসেন প্রিন্স।

রাজনীতিতে হাতেখড়ি

স্কুলে প্রিন্স পড়াশুনার বাইরেও অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন সহ-শিক্ষামূলক কার্যক্রমে। উপস্থিত বক্তৃতায় তিনি অসম্ভব রকমের ভালো ছিলেন। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে লম্ভা লাফ, মোরগ লড়াই, দৌড় প্রতিযোগিতা ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে অনেকবার পুরষ্কার লাভ করেছেন তিনি। ২০০৪ সালে তিনি নিজ গ্রামের বিদ্যালয় কাদিরখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া সম্পাদক নির্বাচিত হন।

প্রিন্সের স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

মোতাহার হোসেনরা তিন ভাই। তিনজনই প্রতিষ্ঠিত। তিনজনই পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে প্রিন্স ক্লাস সিক্স থেকেই জানতেন। এটি দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ, যার আছে ঐতিহাসিক আন্দোলনের মহান ইতিহাস। জাতির শ্রেষ্ঠসন্তানরা পড়ে এখানে। রাজনীতির আঁতুড়ঘর বলা হয় ঢাবিকে। তাই জ্ঞ্যান আহরণের সমুদ্র এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন এটিই ছিলো প্রিন্স এর পরম আকাঙ্ক্ষিত একটি চাওয়া। কমার্সের ছাত্র প্রিন্স ডি ইউনিট থেকে উর্ত্তীন হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের প্রতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি তার ভালবাসা একটু বেশিই।

ভুলের অপর নাম শিক্ষা

প্রতিটি মানুষ জীবনে ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। ভুল থেকে কে কিভাবে শিক্ষা নিচ্ছে সেটাই বলে দেয় আসলে সে মানুষ হওয়ার পথে কতটা কাজ করছে। প্রিন্স জানান, কোনো কিছুই তাকে কেউ হাতে ধরে ধরে শিখিয়ে দিয়েছে এমন না বরং তিনি যা শিখেছেন ভুল থেকে শিখেছেন। অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে শিখেছেন। ব্যাক্তিজীবনে মহানবী (সঃ) এর জীবনদর্শন তাকে খুব ভাবায়। তার দেখানো জীবনদর্শনে তিনি খুব অনুপ্রেরণা পেয়ে থাকেন। রাজনৈতিক জীবনে মোতাহার হোসেন প্রিন্স আদর্শ মানেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে।

“অ্যাই হেইট পলিটিক্স” প্রজন্মের উদ্দেশ্যে

এই প্রজন্মের একটি বড় অংশই রাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। ফেসবুকে লক্ষ্য করলেই দেখা যায়,অধিকাংশ বাংলাদেশী আইডিতে “অ্যাই হেইট পলিটিক্স” উল্লেখ করে থাকেন। এই প্রসঙ্গে মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, এই দেশ সকলের। দেশের কল্যানের জন্যই ছাত্রদেরকে দেশ,ইতিহাস,ভাষা আন্দোলন,মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে হবে। পড়াশুনা করতে হবে। দেশকে এগিয়ে নিতে ছাত্রদের মধ্যেই সচেতনতা গড়া তোলা জরুরী। তিনি বলেন, এখন ছাত্ররাজনীতিতে নিয়মিত ছাত্রদেরকেই গুরুত্ব দেয়া হয়। মেধার মূল্যায়ন হয়। তাই রাজনীতিতে মেধাবীরা আসলে দেশ এগিয়ে যাবে, সমৃদ্ধ হবে।
প্রিন্সদের মত রাজনৈতিক নেতা আছে বলেই আমাদের তরুণ সমাজ আজও রাজনীতি করে, দেশকে ভালোবাসে, মোতাহার হোসেন প্রিন্স বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আছেন, আগামীতে মোংলা রামপালের মানুষের কান্ডারী হিসাবে দেখতে চায় সাধারণ মানুষ,
আজকে যুব সমাজের অহংকার
মোতাহার হোসেন প্রিন্সের জন্মদিনে জানাই অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com