ফটিকছড়ি প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলাকে বিভক্ত করে ‘ফটিকছড়ি উত্তর’ নামে নতুন উপজেলা গঠনের প্রস্তাব অনুমোদনের পর সদর দপ্তর যৌক্তিক ও মধ্যবর্তী স্থানে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের প্রভাবশালী মহলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার দাঁতমারা বাজারে উত্তর ফটিকছড়ি সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
এদিকে নতুন উপজেলা গঠন নিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ফটিকছড়িতে সৃষ্টি হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন জনমত। উত্তর ফটিকছড়ির মানুষ বলছেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন ও প্রশাসনিক সেবায় বঞ্চিত। তাই নতুন উপজেলার সদর দপ্তর যৌক্তিক ও মধ্যবর্তী স্থানে স্থাপন করা হোক। দক্ষিণাঞ্চলের প্রভাবশালী মহল যদি সদর নিজেদের দিকে নিতে চায়, তবে আমরা নীরব থাকব না।” তাঁদের দাবি, দাঁতমারা বা আশপাশের এলাকা ভৌগোলিকভাবে উত্তর ফটিকছড়ির কেন্দ্রবিন্দু, যা সকলের জন্য সুবিধাজনক।
অন্যদিকে দক্ষিণ ফটিকছড়ির সুয়াবিল ও নাজিরহাট এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, “জনগণের মতামত ছাড়াই প্রশাসন সুয়াবিল ইউনিয়ন ও পৌরসভার অংশবিশেষকে নতুন উপজেলায় যুক্ত করেছে—এটা অন্যায্য সিদ্ধান্ত।” তাঁদের অভিযোগ, বর্তমান উপজেলা সদর যেখানে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে, সেখানে নতুন সদর দপ্তর দাঁতমারা হলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেক বেড়ে যাবে।দুই পক্ষই প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যেন জনগণের মতামত ও ভৌগোলিক বাস্তবতা বিবেচনা করে ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। হারুয়ালছড়ি জনগণ বলেন উত্তর ফটিকছড়ি উপজেলা সদর দপ্তর যদি ভূজপুর হয় আমরা একমত আছি, অন্যতায় আমরা মেনে নিব না।
উক্ত মানববন্ধনে মোজাম্মেল হায়দার চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও যুবদল নেতা মো. জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ আল কাদেরী, সাবেক জামায়াতে ইসলামীর থানা আমির জিয়াউল হক,অধ্যাপক হাসান মেহেদী,যুবদল নেতা একরামুল হক ও শফিউল আলম, ব্যাংক কর্মকর্তা লিমন লোকমান ও শাজাদুল কবির জামাল, ব্যবসায়ী নেতা আলমগির, চিকিৎসক ডা. আব্দুল জলিল এবং আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন , ফটিকছড়ি দক্ষিণাঞ্চলের একটি প্রভাবশালী মহল ষড়যন্ত্র করে নতুন উপজেলার সদর দপ্তর ভূজপুর বা হারুয়ালছড়িতে স্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারা মধ্যবর্তী স্থানে সদর দপ্তর স্থাপনের যৌক্তিক দাবি জানান।
বক্তারা আরও বলেন, মধ্যবর্তী স্থানে উপজেলা সদর দপ্তর স্থাপন না করে দক্ষিণে স্থাপনের ষড়যন্ত্র করলে উত্তর ফটিকছড়ির জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।