
মোঃ কবির হাওলাদার সিনিয়র রিপোর্টার :
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের টুংগিবাড়িয়া গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে পড়ে থাকা একটি স্লুইস গেটের কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। পানি ধরে না রাখতে পারায় প্রায় দুই হাজার একর জমির আমন ধান সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে না। এতে অনেক জমির ধান গাছ শুকিয়ে যাচ্ছে, শীষ বের হচ্ছে না—ফলে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। টুংগিবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মো. জাবের হাওলাদার বলেন, “আশায় ধান লাগাইছি। কিন্তু গেটটা নষ্ট, পানি ধরে না। জমি শুকনা হয়ে গেছে। এখন ধান তো চোখেই পড়ছে না, গাছ শুকায়া যাচ্ছে।” কাটাখালী গ্রামের আরেক কৃষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, “গত বছরও এই সময় পানি ধরে রাখতে পারছিলাম, ভালো ধান হয়েছিল। এবার স্লুইস গেটের ভরসায় ছিলাম, কিন্তু কেউ আসে না, দেখে না। একাধিকবার বলছি, কাজ হয় না। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, স্লুইস গেটটি দীর্ঘদিন ধরে কপাট ভাঙ্গা, এছাড়াও নানান সমস্যায় জর্জরিত। ফলে খালের পানি ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। মাঠের পানি দ্রুত সরে যাচ্ছে, এতে ধানের শীষ বের না হওয়ার পাশাপাশি গাছ ঝরে পড়ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. নসরু মৃধা বলেন, “কৃষকরা আমাদের জানিয়েছে, আমরাও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।” এ বিষয়ে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সাহ আলম এর কাছে যানতে চাইলে তিনি মুঠ ফোনে যানান, আমাদের ৭০০ স্লুইজ এগুলো দেখার মতো পর্যাপ্ত লোকবল নেই, আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সার্ভে খালাশি ছিল ওরা দেখাশুনা করত, বর্তমানে স্লুইজ করার পরে স্হানিয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান,মেম্বার গন্যমান্য ব্যাক্তি , সুবিধা ভুগি সহ কৃষক দের হাতে সমন্বয়ের মাধ্যমে পানি ওঠা নামা ও দেখ ভালের কাজ ছেড়ে দিয়েছি এরাই দেখাশুনা করবে-হয়ত মেরামতের কাজ আমরাই করব। আমি খুব শিগ্রই আমার সংশ্লিষ্ঠ এস ও সাহেবকে বলে খোজ নিয়া বিষয়টি সমাধান করে দিব। স্হানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বরাবরই কৃষির মৌসুমে গেট নিয়ে সমস্যা হয়। কিন্তু প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড তাতে গুরুত্ব দেয় না। স্হানীয় সচেতন মহল এবং কৃষকরা দ্রুত স্লুইস গেট সংস্কার ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এতে একদিকে কৃষি উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি কৃষকেরাও স্বস্তি ফিরে পাবে বলে মনে করছেন তারা
Leave a Reply