যাত্রাবাড়ী এলাকায় এমন জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন যেখানে ডেঙ্গু নেই মশা বাহিত বিভিন্ন রোগ এর মধ্যে ডেঙ্গু ম্যালেরিয়া ও চিকুনগুনিয়া উল্লেখ্য।
এছাড়াও মশাবাহিত জিকা ভাইরাসের কারণ গর্ভের সন্তানের মস্তিষ্ক অপরিপক্ক এবং শিশুর মাথা স্বাভাবিকের চেয়ে আকারে ছোট হয়।
বাংলাদেশে জিকা ভাইরাস এ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে অনেক আগেই মশার উপদ্রব বৃদ্ধি সহ মশা বাহিত বিভিন্ন রোগের আশংকা থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় প্রশাসন মশা নিধনের কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে ঢিলেঢালা বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রাবাড়ীর স্থানীয় সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা যায় যাত্রাবাড়ীসহ শনিআখরা কদমতলী জিনজিরা চুনকুটিয়া ডাকপাড়া আগানগর কালিগঞ্জ সহ ঘনবসতি এলাকাগুলো মশার উপদ্রব সবচেয়ে বেশি।
যাত্রাবাড়ী এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা নয়ন মিয়া বলেন মশা বাহিত রোগের ভয়ে সন্তানদের নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলাম গত বছর আমার আত্মীয় স্বজনসহ অনেকে আক্রান্ত হয়েছিল এইবার আমার দুটি যমজ সন্তান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মেডিকেলের বেডে পড়ে আছি।
মশার কয়েল জ্বালিয়ে কিছুটা কমলেও কয়েলের ধোয়াতে বাচ্চাদের খুব কষ্ট হয় শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে এ বিষয়ে সমাধান পেতে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
স্থানীয় সচেতন মহল বলেন বাসাবাড়ী ও রাস্তাঘাট এর আশেপাশে অপরিষ্কার রাখা সহ যত্রতত্র ময়লার ভাগাড় এর কারণে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ তাই যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে নিজেদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: মশিউর রহমান বলেন মশার কামড়ে ডেঙ্গু চিকুনগুনিয়া ম্যালেরিয়া সহ মশা বাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়, এদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি সকালে অথবা সন্ধ্যায় মশা বেশি কামড়ায় এই জন্য সকলের সচেতন থাকা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা অমিত দেবনাথ বলেন করোনা ভাইরাস এর পাশাপাশি ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডপর্যায়ে আমাদের কাজ চলছে আরো গতিশীল হওয়ার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে মশার বিস্তার রোধে সাধারণ মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি নালা-নর্দমা ও বাড়ির আশেপাশে মেশিনের মাধ্যমে মশক নিধন ওষুধ ছিটানো জরুরী।
করোনাভাইরাস এর পাশাপাশি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত শিশুসহ রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে ঢাকার স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ক্লিনিকগুলো
সবচাইতে নিচু এলাকা হাওয়াই যাত্রা বাড়ীর পাড়া-মহল্লা গুলোতে ডেঙ্গুর বিস্তার সেখানে সবচেয়ে বেশি।
Leave a Reply