শিরোনাম :
“পুলিশের ওপর হামলা মামলার আসামি ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ- চট্টগ্রাম শাখার এক নেতা। তাকে উক্ত মামলায় গ্রেফতার করা হলে, এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা ঘিরে দিনভর বিক্ষোভ করে ‘ইসলামী আন্দোলন, বাংলাদেশের’ নেতাকর্মীরা আশুগঞ্জে ১৩০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারী গ্রেফতার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে বিদায়ী সংবর্ধনা জানালেন, হরিণাকুণ্ডুর মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার চোর সন্দেহে যুবককে হত্যা চেষ্টা হারুয়ালছড়িতে বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ ঝিনাইদহে জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচার- সার,বীজ উদ্ধারের নাটক সাজানোর অভিযোগে তোলপাড়- মির্জাপুর গোলাপী হত্যা মামলায় স্বামী আব্দুল কাদের শশুর বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী রফিকের পিতার জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল রাজশাহী মডেল প্রেসক্লাবের নির্বাচনে সভাপতি ইমদাদুল, সম্পাদক হিরো জামায়াতকে আমরা ১৯৭১ সালেই দেখেছি, নতুন করে দেখার কিছু নেই – আমিনুল হক

রাজারহাটে পুরা একটি গ্রাম তিস্তার ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন

মোঃ মিজানুর রহমান কুড়িগ্রাম বিশেষ প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৩১ জুলাই, ২০২১
  • ৩৭৮ বার পঠিত

কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম ও বগুড়া পাড়ায় গত এক মাসে ২৬০টি বসতবাড়ি তিস্তা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।পুরা একটা গ্রাম তিস্তার রাক্ষুসে ভাঙ্গনে নদীগর্ভে চলে গেছে।এই ভাঙ্গনে প্রায় ৫০ একর আবাদি জমি তিস্তা নদীর গর্ভে চলে গেছে।বসতবাড়ি হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে বসতবাড়ি হারা দুই শতাধিক পরিবার।কেউ কেউ আশ্রয় নিয়েছে অন্যের জায়গায় আবার কারও ঠাই নিয়েছে রাস্তার পাশে।তাদের এই দুঃসময়ে এগিয়ে আসেননি কেউয়ে।
উপর ওয়ালার উপর ভরসা করেই কাটছে তাদের দিনকাল।ভুক্তভোগীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতা কেই দায়ী করছেন।বগুড়া পাড়া গ্রামের দুলাল মিয়া বলেন এক মাসেরও কম সময়ে লালমনির হাট জেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন থেকে শুরু করে কুড়িগ্রাম জেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের বগুড়া পাড়া পর্যন্ত ২৬০টি বসতবাড়ি নিমিষেই তিস্তানদীর গর্ভে চলে গেলেও কুড়িগ্রাম জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।অথচ লালমনির হাট জেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নে নদী ভাঙ্গনরোধে কাজ করছেন লালমনির হাট পানি উন্নয়ন বোর্ড।বিরাজ উদ্দিন বলেন তিস্তা আমাদের সব কিছু কেড়ে নিলো।এখন বউ বাচ্ছা নিয়ে খুব কষ্টে আছি কোন রকমে অন্যের জায়গায় ছাপরা তুলে রাত কাটাচ্ছি।প্রতিবেদক শনিবার দুপুরে ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের বগুড়া পাড়া গ্রামে নদী ভাঙ্গনের তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ভুক্তভোগীরা প্রতিবেদক কে দেখে ঘিরে ধরে তাদের মনের আক্ষেপের কথা জানান।বাড়িভিটা হারানো নুরনবী,আঃরফিক,এরাজউদ্দিন,
সাফর আলী ও বিরাজ উদ্দিন প্রমুখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন মমতাময়ি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আজ আমরা নিঃস্ব রিক্ত সব কিছু হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি।আপনি আমাদের মাথা গোজার ঠাই করে দিন।এবিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম কে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।তবে এস ডি মাহমুদ হাসান বলেন বগুড়া পাড়ায় যেভাবে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে তাতে এই অবস্থায় জিও ব্যাগ বা জিও টিউব বস্তা ফেলে ভাঙ্গনরোধ করা সম্ভব নয়।শুকনো মৌসুমে নদীরতীর সংরক্ষণ করে নদী শাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

বসতবাড়ি হারা পরিবার গুলোর পুর্নবাসনে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে তাসনিম বলেন বসতভিটে হারিয়ে যাদের মাথা গুজার ঠাই নাই এমন পরিবার যদি অন্য কোন ইউনিয়নে যেতে চায় তাহলে তাদের পুর্নবাসনের ব্যবস্থা করে দিবো।এব্যাপারে ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে তালিকা প্রস্তুত করতে বলেছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com