নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর মিরপুরে হযরত শাহ আলী বাগদাদী (রাঃ) মাজার শরীফটি ১৮৮০ সালে ৩২ একর সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠাপায়। আওয়ামীলীগের ঢাকা ১৪ আসনের এমপি আসলামুল হকের মাধ্যমে ২০০৮ সালে মোরশেদ সহকারি হিসাব রক্ষক পদে চাকরিতে যোগদান করে এবং বর্তমানে সে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছে। যানজটের কারণে, ২০১৮ সালে মিরপুর ১ নাম্বারের প্রধান সড়ক থেকে কাঁচামাল আড়ৎদারদের কে সরিয়ে মাজার কর্তৃপক্ষর পরিত্যক্ত ডোবা জায়গায় স্থানান্তর করে, তখন ব্যবসায়ীরা নিজ উদ্যোগে ডোবা জায়গাটিতে মাটি ভরাট ও টিনের শেড তৈরি করে তারা ব্যবসা শুরু করলে। আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের একটি চক্র ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতিদিন বড় আড়ৎ থেকে ভাড়া ৪ হাজার ২শত টাকা,মাঝারি ক্যাটাগরির আড়ৎ থেকে ৩ হাজার ২শত টাকা,আর ছোট ক্যাটাগরি আড়ৎ থেকে ১ হাজার ২ শত টাকা করে ভাড়া নেয়।ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, আমি এই আড়ৎদে ২০১৯ সাল হইতে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ১ একর ২৮ শতাংশ (প্রায় ৩ হাজার বর্গফুট) জমিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে মাটি ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করে আসছি। কিন্তু ম্যানেজার মোর্শেদ ও হিসাব রক্ষক আবুল হোসেন আমাকে ৫০ হাজার টাকার সীল বিহীন রশিদ দেয়। তিনি আরো অভিযোগ করেন,তারা দৈনিক দোকান প্রতি ভাড়া নেয় ২ হাজার ২শত টাকা, আর আমাদের রিসিট দেয় ৪ শত টাকার।আর বেশিরভাগ সময়ে তারা মাজারের সিকিউরিটি গার্ড আনিছ ও জুয়েলকে দিয়ে রশিদ বিহীন টাকা নিয়ে যেত। ৫ই আগস্টের পর আমাকে ছাত্র সমন্বয়ক ও প্রশাসন থেকে ভাড়ার রশিদ দেখতে চাইলে
আমি ম্যানেজার মোরশেদের কাছে টাকার রশিদ চাইলে,ম্যানাজার টাকার রশিদ না দিয়ে আমাকে বলে কিছুদিন পর মাজারে প্রসাশক নিয়োগ হচ্ছে,তখন এমনই আপনাদের জমি আমরা বুঝিয়ে দিব, আর রিসিট নিয়ে কি করবেন।এখন ম্যানেজার মোর্শেদ বিভিন্ন লোকের কাছে বলে বেড়ায়, আমি নাকি মাটি ভাড়া দেইনা। আমারা নিরুপায় হয়ে,জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি,কারণ জেলা প্রশাসক মহোদয় এখন মাজারের মুতাল্লি হিসেবে দায়িত্বে আছে।
উক্ত অভিযোগের বিষয় ম্যানেজার মোরশেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।