গত রবিবার দিন রাতে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোঃ তাওহিদুল ইসলাম (১০) নামে এই ছাত্র মারা যায়। সে ভালুকার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের কয়েস মিয়ার ছেলে। এদিকে ঘটনার পর থেকেই আবাসিক ছাত্রদের মাদ্রাসায় ফেলে রেখে গা ঢাকা দিয়েছেন শিক্ষকরা।
ময়মনসিংহ ভালুকায় জামিরদিয়া মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃ তাওহিদুল ইসলাম। সম্প্রতি পড়া মুখস্থ করতে না পারায় হেফজ বিভাগের শিক্ষক হাফেজ মোঃ আমিনুল ইসলাম লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাওহিদুলের পাজরের হাড় ও একটি পা ভেঙে ফেলে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন ঐ শিক্ষক। অসুস্থ তাওহিদুল কে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তাওহিদুল।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তাওহীদুল ইসলাম মাঝেমধ্যে ঘুমের ঘরে স্বপ্নে বলতো,হুজুর আমাকে আর মারবেন না, আপনার পায়ে ধরি হুজুর। হুজুর আমি তো মরে যাবো, আমাকে আমার আম্মুর কাছে যেতে দিন।
এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রশাসনের কাছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেছেন পরিবার পক্ষ। ছোট্ট শিশুর উপর পাশবিক নির্যাতনের দায়ে হুজুরের
ফাঁসি চাই গ্রামবাসী।
Leave a Reply