ফেনীর সোনাগাজীতে যুব ও যুবনারীদের আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নারগিস আক্তারের অফিস ঘেরাও করেছে যুব নারীরা সেখানে কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী যুব নারীরা।
ভুক্তভোগী যুবনারী,তাদের অবিভাবক ও যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার অফিস সুত্রে জানাযায়, গত ৩০ জুন থেকে চার মাসিক ব্লক বাটিক ও স্ক্রিন প্রিন্টিং এর উপর প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
এ কোর্সে ২৫ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করার কথা থাকলেও অংশনেন ১৬/১৭ জন।
সরকারি হিসাব মোতাবেক ২৫ জনের নামেই ১২০০০ টাকা করে চেকের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করান মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা।
কারো কারো মাধ্যমে একাধিক ব্যক্তির নাম জালিয়াতি করে টাকা উত্তলনের অভিযোগ আছে,মাহবুবা শাহিন নামে এক মুসলিম প্রশিক্ষনার্থীকে হিন্দু সাজিয়ে সনতনী এক মেয়ের অর্থ তুলান বলেও সে দাবী করেন।
এখানে ক্ষ্যন্ত নয় এ কর্মকর্তা জন প্রতি ১২০০০ টাকা আসলেও প্রত্যককে ১০০০/ ২০০০ করে দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া যায়।
বিবি জান্নাত, বৃষ্টি ও ডলী রানী ভৌমিক নামের প্রশিক্ষণার্থীরা জানান, ম্যাডাম সব সময় আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন, এমনকি বাসার কাপড় চোপড় ধৌয়া, প্লেট ধৌয়া থেকে সব কাজ প্রশিক্ষণার্থীদের দিয়ে করান।
এ ঘটনায় যুবনারীরা বাদী হয়ে সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন।
এদিকে এ খবর জানাজানি হলে শাহিন সুলতানা নামের এক প্রশিক্ষণার্থী জানান, আমারাও প্রায় ১৫ জন বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষণ নিয়েছি আমাদেরকে দিয়েও ১২ হাজার করে টাকা তুলিয়ে মাত্র ৩ হাজার টাকা দেয়। এমনকি বেনামেও চেক তুলান কয়েকটা।
এ বিষয়ে জানতে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি,মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অনুরোধ করেন,
সবাইকে বলেন আগামীকাল আসতে, তখন হিসাব করে সব পাওনা দেওনা মেটাবেন বলেও জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম জহিরুল হায়াত আমাদের সময়কে বলেন, আজ আমি ছুটিতে ছিলাম এসিল্যান্ডের হাতে অভিযোগ কপি দেওয়ার কথা শুনেছি কাল যোগদান করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply