
খন্দকার জলিল, জেলা ব্যুরো প্রধান, পটুয়াখালী
শেখ হাসিনার মামলার রায় ঘোষণার পর পটুয়াখালীর গলাচিপায় আওয়ামীপন্থী নেতাকর্মীদের মাঝে নেমে এসেছে হতাশা ও বেদনার ছাপ।
রায়ে সর্বচ্চ সাজা ঘোষণার পর পুরো এলাকায় নেমে এসেছে এক ধরনের নীরবতা এবং থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুরো উপজেলা জুড়ে রাজনৈতিক পরিবেশ যেন আচমকা ভারী হয়ে উঠেছে। রায়ের পর কোথাও কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেনি, তবে আওয়ামীপন্থী নেতাকর্মীদের মুখে মুখে চাপা উদ্বেগ স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী পন্থী নেতাকর্মীদের আচরণে দেখা গেছে গভীর বেদনার ছাপ। রায় ঘোষণার পর থেকে তারা সংগঠন নিয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। রাজনৈতিক তৎপরতা, মিটিং-মিছিল কিংবা কৌশলগত আলোচনা—কোথাও তেমন সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে না। বরং এলাকাজুড়ে এক ধরনের স্তব্ধতা বিরাজ করছে।
নেতাকর্মীদের অনেকেরই এই রায় ঘোষণার পর তাদের মনোবল ভেঙে পড়েছে। রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোন দিকে যাবে—তা নিয়ে তারা গভীর অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। অনেকে আড়ালে ভাবছেন— “এমন রায়ের পর দলকে ভবিষ্যতে কিভাবে সংগঠিত করা হবে? সামনে কি হতে পারে, সেটাও বুঝে উঠতে পারছেন না।” এই মানসিক অস্থিরতা ও চাপ গলাচিপার আওয়ামী রাজনৈতিক মাঠকে নিস্তেজ করে দিয়েছে।
বাজার, চায়ের স্টল, মাঠে ঘাটে যেখানেই যাওয়া হোক, রায় নিয়ে আলোচনা থাকলেও আওয়ামী পন্থীদের কণ্ঠস্বর যেন অনেকটাই নিম্নগামী। তাদের অনেকেই মনে করছেন, সামনের পথ আরও কঠিন, এবং দলীয় অবস্থান পুনর্গঠনে অনেক সময় লাগবে।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং কোনো ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়নি। তবে সাধারণ মানুষের মধ্যে রায়ের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক থাকা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবনার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সমগ্র চিত্র বিশ্লেষণে বলা যায়, গলাচিপায় বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে একটি সংবেদনশীল সময় পার করা হচ্ছে। সর্বচ্চ রায়ের প্রভাবে নেতাকর্মীদের মনে যে বেদনা, দুঃশ্চিন্তা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে—তা স্থানীয় রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলেই ধারণা করছেন স্থানীয় বিশ্লেষকরা।
Leave a Reply