শ্যামনগরে ৬ মাসের অন্তসত্তা এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুুর খবর পাওয়া গেছে,

তবে তার পরিবারের দাবি যৌতুক না পেয়ে শাররীক নিযাতন করে মারা হয়েছে।

বুধবার রাত আনুমানিক ১২-৩০ ঈশ্বারীপুর গ্রামের
আবুক্কার এর ছেলে নাইমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মরিয়াম (১৯) মুন্সীগঞ্জ গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।

বিগত ১ বছর পূর্বে, নাইমের সাথে মরিয়ামের বিয়ে হয়, বিয়ের পর, কিছু দিন যেতে না যেতেই অহেতুক যৌতুক দাবি করতে থাকে, এমন কি প্রায় সময় মারধর করতে থাকে বলে অভিযোগ।

কয়েকবার যৌতুক হিসাবে মটর সাইকেল দাবি করলে মৃত্যু গৃহবধু পিত্রালয়ে যায়, পিত্রালয় হইতে, কয়েক দিন সময় নিয়ে মেয়েকে বুঝিয়ে শুক্রবার স্বামীর বাড়িতে পাঠায় তার অবিভাবকেরা।

বুধবার ১৪ অক্টোবর রাত ১-৩৩ মিনিটে খবর আসে, মরিয়াম গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে।

নিহতর ফুফু টুরি বিবি বলেন, তার ঘরে যেয়ে দেখি মরিয়ামের কাপড়ে রক্তের দাগ।

এছাড়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতনের দাগ- আমরা এর বিচার চাই।

ঈশ্বারীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শোকর আলী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সে আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়না তদন্তের রির্পোটে জানা যাবে আসল ঘটনা কি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শ্যামনগর থানার এসআই রইস বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখি নিহতের লাশ ঘরের মেঝেতে শুয়ানো।

সেখান থেকে লাশ সাতক্ষীরা মগে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যপারে শ্যামনগর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে যার নং ৩১।