লিমন তালুকদার,জকিগঞ্জঃ-
সিলেট শহর থেকে ৯০ কিলোমিটার দুরবর্তী সীমান্তঘেষা উপজেলা জকিগঞ্জ। শহর থেকে সেখানে যাতায়াতের অন্যতম সহজ পন্থা জকিগঞ্জ-শেওলা সড়ক। এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত করেন হাজারো মানুষ।
কিন্তু সিলেট শহর থেকে শেওলা পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচল উপযোগী থাকলেও শেওলা পয়েন্ট থেকে জকিগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার নাজুক অবস্থা থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষদের।
জানা যায়, সংস্কারবিহীন ২২ কি. মি. রাস্তায় হেলেদুলে মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। এতে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন গর্তে বৃষ্টির পানি জমে থাকে, অসাবধানতাবশত গর্তে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের।
ভুক্তভোগীরা জানান, জনগুরুত্বপুর্ণ এ রাস্তায় হেলেদুলে উপরে নিচে ‘ঝাঁকাঝাঁকি’ করে অতিক্রম করছে গাড়ি। কখনো গর্তে পড়ে আটকা পড়ছে। গর্তের কারণে ‘ঝাঁকাঝাঁকি’ ও অনেক সময় গাড়ি আটকা পড়ে যায়। এতে সৃষ্টি হয় যানজট। রাস্তার মধ্যখানে গাড়ি বন্ধ হয়ে দুই দিকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালি আর বর্ষায় গর্তে পানি ও কাঁদা জমে নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়। প্রতিনিয়ত এমন দুর্ভোগে রাস্তাটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন জানায়, এই রাস্তা দিয়ে সিলেট শহরে খুব কম সময়ে পৌছা যেত। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার জন্য বাড়তি সময় চলে যায়। এতে অনেক সময় আমাদের গন্তব্যে পৌছাতে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়।
এ সড়কের জরুরি সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন ধরেই অনুভব করে আসছেন জকিগঞ্জবাসী। সম্প্রতি মাত্র ৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হলেও স্থানীয়দের মতে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
সিএনজি (অটোরিকশা) চালক হোসেন আহমদ বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা এ রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে হয়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। কখনও গাড়ির স্কেল ভেঙ্গে বিপাকে পড়তে হয়।
জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি সংস্কার করে মাধ্যমে শিক্ষার্থী, সাধারণ মানুষসহ যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানান স্থানীয়রা।