মোঃ রেজাউল করিম সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
পরিবারের সচ্ছলতা ফেরানোর স্বপ্ন নিয়ে সুদূর প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শিপন মিয়া। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সেখানেই প্রাণ হারালেন এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা। বুক ভরা আশা নিয়ে দুবাই পাড়ি দেওয়া শিপনের এমন মর্মান্তিক পরিণতিতে পরিবার ও স্বজনদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জানা যায়, গত শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় আনুমানিক রাত ১১টা থেকে ১২টার দিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। দুবাইয়ে থাকা স্থানীয় প্রবাসীদের সূত্রে এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় তার নিজ বাড়িতে শোকের মাতম শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে স্থানীয় প্রবাসীরা জানান, শিপন মিয়া রাস্তা পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক (রং সাইড) থেকে আসা দ্রুতগতির একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আঘাত পান। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
নিহত শিপন মিয়া শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের হাসারচর গ্রামের বাসিন্দা। ২০২১ সালে তিনি উন্নত জীবনের আশায় দুবাই পাড়ি জমিয়েছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে নিজ পরিবারের ভাগ্য পরিবর্তন করাই ছিল শিপনের প্রধান লক্ষ্য। পরিবারের লোকজন ও স্বজনরাও তার ভাগ্যের পরিবর্তনের সেই স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। স্বজনরা বুক বেঁধেছিলেন, সচ্ছলতা নিয়ে একদিন তিনি দেশে ফিরবেন।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম বড় ছেলেটিকে হারিয়ে দিশেহারা তার মা-বাবা। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে তারা প্রায় বাকরুদ্ধ ও জ্ঞান হারানোর মতো অবস্থায় আছেন। এক বুক স্বপ্ন নিয়ে দুবাই যাওয়া ছেলের এমন আকস্মিক ও মর্মান্তিক পরিণতি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।