সাবেক মন্ত্রী এম. নাজিম উদ্দিন আল-আজাদ
মীর রাজিবুল হাসান নাজমুল: বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী এম. নাজিম উদ্দিন আল-আজাদ বলেছেন, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের ভিত্তি ও স্থিতিকে মজবুত করার লক্ষে সরকার গৃহিত জুলাই ঘোষণা পত্র, বিচার কার্য অতি দ্রুত সম্পন্ন করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে সকল দলকে এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন। প্রধান অতিথি আরো বলেন সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন করেই জাতীয় নির্বাচনের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় মধ্য-ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট- ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন-এনডিইউ’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন জটিল এক সমীকরণের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে দেশের রাজনীতি। নির্বাচন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দলগুলোর মধ্যে বাড়ছে অনৈক্য, সংশয় ও সন্দেহ। নানা বিষয়ে রাজনীতির মাঠে অনৈক্যের সুর ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। ভোটের হিসাব-নিকাশ যত এগিয়ে আসছে বিরোধ ততই প্রকাশ্যে রূপ নিচ্ছে। তবে সরকার ঘোষিত ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন এখন সময়ের দাবি । প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান, জাতীয় ঐক্য সমন্বয় পরিষদের সমন্বয়কারী ও মিডিয়া উইং চীপ শেখ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি আরো বলেন, খাদের কিনারে গণতন্ত্র। দেশের বৃহত্তর বর্তমান তিনটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপি, জামায়াত ইসলাম ও এনসিপির মধ্যে সংস্কার করেই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক ধুম্রজাল। এই কিনার থেকে গণতন্ত্র উত্তরনে সকল অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে একিভুত হতে হবে। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে জুলাই হত্যাকান্ডের বিচার নিশ্চিত করে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন’র কোন বিকল্প নেই । বাংলাদেশ সিটিজেন পার্টির চেয়ারম্যান ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন-এনডিইউ’র আহবায়ক প্রফেসর ড. আসলাম আল
মেহেদী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিটিজেন পার্টির উপদেষ্টা, বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল’র প্রাক্তন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সৈয়দ শামসুদ্দিন আহমেদ, জাতীয় সংস্কার পার্টির আহবায়ক মেজর (অবঃ) আমীন আহমেদ আফসারী, জাতীয় মুক্তি দল পার্টির চেয়ারম্যান এটিএম বীরমুক্তিযোদ্ধা মমতাজুল করিম, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান প্রফেসর এ আর খান, বাংলাদেশ জনতা পর্টির চেয়ারম্যান এস এম মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তাক সরকার), বাংলাদেম নতুনধারা জনতার পার্টি-বিএনজিপি’র চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ আব্দুল আহামদ নূর, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মজুমদার, বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী সাম্যবাদী দল পার্টির চেয়ারম্যান মুফতি নুরুল আমিন, বি.আর.পি পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ হিরু, স্বদেশ পার্টির চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান দেশ, বিএলডিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আমান উল্লাহ, বিএনডিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব হারুনুর রশীদ দুলাল, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন-এনডিইউ’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. সানজির হাওলাদার, নিজেপি’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাফিজ মাহবুব প্রমুখ।