আজহারুল ইসলাম সাদী:
সাতক্ষীরা পৌরসভার ১ নাম্বার ওয়ার্ডে ড্রেন উপচে বৃষ্টির পানি রাস্তায় জমে থাকায়, প্রায় হাঁটু পানি ঠেলে মসজিদে যেতে মুসল্লিদের চরম ভোগান্তি।
স্বাভাবিক ভাবে যেখানে বাসা বাড়ি ও রাস্তার পানি ড্রেনে যাওয়ার কথা, সেখানে ড্রেনের পানি উপচে পড়ছে রাস্তায়!
অবিশ্বাস্য ও আশ্চর্য জনক এমন এক অবহেলিত জনপদের নাম সাতক্ষীরার মধ্য-কাটিয়া বায়তুন নুর জামে মসজিদ থেকে- সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ রোডের লস্কর পাড়া পদ্ম পুকুর জামে মসজিদ অভিমুখের মধ্যবর্তী সড়কটি।
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম এক বিপর্যয়। শহর থেকে গ্রাম সবখানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা, রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত, কোথাও আবার ড্রেনের দুর্গন্ধ ও ময়লা আবর্জনা যুক্ত পানিতে একাকার হয়ে গেছে।
বৃষ্টির ফলে মানুষ বন্দি হয়ে পড়েছে চার দেয়ালের ভেতরে।
১৭ জুন রাত থেকে- থেমে থেমে ১৯ জুন পর্যন্ত বৃষ্টিপাত চলে একটানা। এরপর দু’দিন বিরতির পর ২২ জুন সকাল ৭টার পর থেকে ফের নামে মুষলধারে বৃষ্টি।
এই রেশ কাটতে না কাটতেই শনিবার (২৮ জুন) ভোর রাত থেকে আবারও শুরু হয় প্রবল বর্ষণ।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী জানান, গত ১৭ জুন থেকে ২৮ জুন সকাল ৯টা পর্যন্ত সাতক্ষীরায় ১৪৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে আগামীকাল থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমতে পারে।
বৃষ্টির সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর। শহরের অনেক রাস্তাই এখন হাঁটার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কাদা আর ভাঙা রাস্তা, কোথাও আবার ড্রেনের দুর্গন্ধযুক্ত আবর্জনার সাথে অতি বৃষ্টির ফলে রাস্তা ও ড্রেন একাকার হয়ে চলাচলের প্রধান এই সড়ক অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সাতক্ষীরা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মধ্য কাটিয়া এলাকার জাতীয় ক্রিকেটার সৌম্য সরকার এর বাড়ির দক্ষিণ দিক দিয়ে, যে রাস্তাটি সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ অভিমুখে গিয়েছে, এই সড়কের মাঝে বায়তুন নুর জামে মসজিদ ও লস্কর পাড়া পদ্মা পুকুর জামে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তাটির বেহাল দশা, দেখে মনে হবে এই সভ্য যুগে মানুষ যেন আদিম যুগে বসবাস করছেন।
কয়েকশ গজ এই রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা চরম ভোগান্তিময়, দীর্ঘদিনের অবহেলিত এই এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাস্তার চেয়ে উপরে উঠে গেছে, রাস্তা হয়ে গেছে ড্রেনের থেকে নীচু, ফলে বৃষ্টি নামলেই বৃষ্টির পানি ড্রেন উপচে রাস্তায় পড়তে থাকে, এজন্য ড্রেন ও রাস্তার মাঝখানে বাঁধ দেয়া হলেও অতি বৃষ্টির চাপে সে বাঁধ ভেঙে পানি চুঁইয়ে রাস্তায় এসে পড়ছে, যার ফলে ড্রেনের আবর্জনা যুক্ত অপরিচ্ছন্ন পানি তে জন চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এলাকাবাসী জানান, আমরা যেন কোন এক অভিশপ্ত অজানা অচেনা নগরে বসবাস করছি!
বারে বারে সরকার আসে সরকার যায়, পৌরসভার নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনের পুর্বে প্রার্থীদের আশার বুলি থাকে, নির্বাচনে জয়ী হতে পারলে, প্রথমে অবহেলিত রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার নিরসন করা হবে।
কিন্তু কথায় বলে ভোটে পরে আর ফস করেনা?
এমতাবস্থায় চরম ভোগান্তির শিকার ভুক্তভোগী এলাকাবাসীর দাবি, যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে এই সড়ক ও এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থার সমাধান হোক।
Leave a Reply