সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপনের (৪৫) বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও চাঁদাবাজির মামলা হয়েছে। আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন,২ নং সোনাখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ. লীগের সভাপতি। বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) রাতে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম, বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রায়গঞ্জ থানা আমলী আদালতে বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলাটি দায়ের করেন ওই উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের বন্দিহার গ্রামের আব্দুল মান্নান। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- একই ইউনিয়নের বাসাইল জুব্বারের ছেলে সোরহাব আলী (৩৮), মৃত আজাহার আলীর ছেলে আহমাদ (৫০), ভুইয়ট গ্রামের মৃত আসমত আলীর ছেলে জয়নাল হোসেন (৫৮) তার দুই ছেলে আব্দুল জব্বার (৩৫) ও সুমন সেখ (৩০), ইসরাফিলের দুই ছেলে সোহাগ (২৮) ও আব্দুল খালেক (৩৫), মৃত মনছের আলীর ছেলে ইসরাফিল (৬০), মৃত শাহজান আলীর ছেলে ফরহাদ (৫৫), ফরহাদের ছেলে আরিফ (৩২) ও ফারুখ (৩৫)। মামলা সূত্রে জানা গেছে,নিমগাছী বাজারের মৎস্য আড়ৎদার ওই মামলার ১ নম্বর স্বাক্ষী আবু সাঈদ সেখের কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও মামলার বাদি আব্দুল মান্নানের ছেলে রেজাউল করিমকে নিমগাছী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিছন্নতা কর্মী পদে (এমএলএসএস) চাকরি দেওয়ার জন্য নগদ আট লাখ টাকা গ্রহণ করে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন।
চাকরির আশায় জমি ও গরু বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করে দিলেও চাকরি হয়নি রেজাউলের। ওই চাকরি পেয়েছেন আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপনের ভাগ্নে আসলাম হোসেন।
পরে রেজাউল করিমের চাকরি না হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর আব্দুল মান্নান টাকা ফেরত চান। আবু হেনা মোস্তফা কামাল তিন মাস সময় নেন। সাত মাস পর আবারও সময় নেন। পরে ভুক্তভোগী মামলার বাদী স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ এমপিকে বিষয়টি জানান। সংসদ সদস্য ডা. এম এ আজিজ মুঠোফোনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন চেয়ারম্যান আবু হেনার সঙ্গে।
২০২০ সালের ২৫ মে আসামি আবু হেনা মোস্তফা কামাল,রিপন ৯০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে আবারও সময় নেন। নির্দিষ্ট সময়ে পেরিয়ে গেলে ভুক্তভোগী আবার টাকা চান। সেসময় অবশিষ্ট সাত লাখ ১০ হাজার টাকা ফেরত দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
Leave a Reply