শিরোনাম :
জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকায় নির্বাহী সম্পাদক পদে পদোন্নতি পেলেন মোজাম্মেল হোসেন বাবু ধামরাইয়ে বিজ্ঞান মেলা নীলফামারী সদরে বিসমিল্লাহ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস থেকে সাড়ে ৬২ লাখ টাকার কো*কেন ও হি*রোইন জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (৫৬ বিজিবি) নীলফামারী। রাজশাহীতে হাসিনাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা কোটচাঁদপুরে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ায় জনগণের রোষানলে সাব রেজিস্ট্রার ঝিনাইদহে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভোট দিতে গিয়ে ভোটারের মৃত্যু Daily Detectivenews কেরানিগজ্ঞের বিপুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ গোদাগাড়ীতে ৪০০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার মিরপুরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শাহজাদপুরে মসজিদের সাধারণ সম্পাদকের কাছে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদা দাবির অভিযোগ

সিলেটে শিল্পপতির স্ত্রী ধর্ষণ থানায় মামলা আসামিকে গ্রেফতার করছেনা জালালাবাদ থানা।

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০২২
  • ১১৫১ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ- সিলেট মহানগরীর এসএম পির জালালাবাদ থানা এলাকার নারী উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী জায়েদা আক্তার শান্তা নামে এক শিল্পপতির স্ত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে গত ০১ জুলাই ভুক্তভোগী নিরাপত্তা ও মৃত্যুর ভয়ে কোন রকম জীবন বাঁচিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়, ধর্ষিতা সুস্থ হয়ে গত ৫ জুলাই রাত দশটায় সিলেট এসএম পি জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বাদী নিজে জালালাবাদ থানায় গিয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন এবং ধর্ষণকারী আসামিরা হলেন (১) ইতেশাম মাবরুর (২) মোঃ মুহিত হোসেন (৩) মোঃ রানা মিয়া।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জালালাবাদ থানা এলাকায় গত ০১/ জুলাই শুক্রবার শিল্পপতির স্ত্রীকে পারিবারিক সমাধানের কথা বলে সিলেট ফিজা এন্ড কোং লিঃ জেনারেল ম্যানেজার ইতেশাম মাবরুর,ও তার দুই সহযোগী মোঃ মুহিত হোসেন, মোঃ রানা মিয়া কৌশলে ইতেশাম মাবরুর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে একটি প্রাইভেট কারে তুলে নাকে মুখে রুমাল দিয়ে অজ্ঞান করে সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে দুই সহযোগী সহ ধর্ষণ করে পরে ধর্ষিতাকে জালালাবাদ থানা এলাকার মোহাম্মদ আলী ট্রাস্ট নামে আকালিয়া পেট্রোল পাম্পের পিছনে ভুক্তভোগীর ফ্যাক্টরির সামনে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায় ধর্ষকরা।

জ্ঞান ফেরার পরে ভুক্তভোগী জাহেদা আক্তার শান্তা তার বড় মেয়েকে ফোন করে এবং সাথে সাথে মেয়ে এসে সিলেটে নিরাপদ না,পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসিতে ভর্তি করে তিনদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর ভুক্তভোগী নিজে সিলেটের জালালাবাদ থানা এসে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে আসামিরা ক্ষমতাশীল হওয়ায় জালালাবাদ থানা পুলিশ ধরছে না,বাদী পক্ষের এমন অভিযোগ উঠেছে জনমনে।

ভুক্তভোগী জায়েদা আক্তার শান্তা ধর্ষণের বিচার চেয়ে এসএমপি’র জালালাবাদ থানায় গত ০৫/০৭/ রাত ১০ ঘটিকায় থানায় হাজির হয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করে কিন্তু থানার কর্মকর্ত অফিসার ইনচার্জ ধর্ষিতার মামলা আগে না নিয়ে, আসামি পক্ষের মোটা অংকের টাকা খেয়ে একটি মিথ্যা অভিযোগ থেকে বাদিনীকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ পরে বাদী জায়েদা আক্তার শান্তা কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ হেফাজতে আবারো ওসিসিতে ভর্তি করে একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলা রেকর্ড করে। কিন্তু গোপন সূত্রে জানা যায় আসামিদের সাথে জালালাবাদ থানা পুলিশের কাঁধে কাঁধে হাত মিলিয়ে চলাফেরা রয়েছে কিন্তু গ্রেফতার করছে না পুলিশ আসামিদের।

গোপন সূত্রে জানা যায়,ভুক্তভোগী জায়েদা আক্তার শান্তার স্বামীর টাকার কাছে জিম্মি সিলেট জালালাবাদ থানা সহ এসএমপির বিভিন্ন থানা। বাদী জায়েদা আক্তার শান্তার বিরুদ্ধে তদন্ত ছাড়া একের পর এক দিয়ে যাচ্ছে মিথ্যা মামলা বাদীনীর স্বামী নজরুল ইসলাম বাবুলের কর্মচারী দিয়ে ভুক্তভোগীর স্বামী নজরুল ইসলাম ফিজা বাবুল।

স্বামীর সংসার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ এবং ভিডিও ধারণ প্রাণে মারার হুমকি ও সিলেট ছেড়ে যেতে হবে অজ্ঞান অবস্থায় ফেলে চলে যায় ধর্ষকরা আসামীরা হলেন সিলেটের নজরুল ইসলাম ফিজা বাবুলের জেনারেল ম্যানাজার জামায়াতের নেতা ইতেশাম মাবরুর ও ফিজা বাবুলের লালিত পালিত ক্যাডার বিএনপি নেতা মোঃ মুহিত হোসেন ও ফিজা বাবুলের ব্যক্তিগত কেয়ারটেকার মোঃ রানা মিয়াসহ সমাধানের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অজ্ঞান করে গাড়িতে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের ৯ দিন অতিবাহিত হলেও জালালাবাদ থানা পুলিশ আসামী ধরছেনা। এদিকে পুলিশ মামলা দায়েরের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ স্বাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহনেও গড়িমসি লক্ষ্য করা গেছে। আসামি তাদের নিয়মিত কাজ চালিয়ে গেলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছেনা উল্টো বাদীনীর পরিবারকে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে।

এ ঘটনায় বাদী-স্বাক্ষীদের মাঝে ক্ষোভসহ মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে আজ।গত ১৩ জুলাই সিলেট আদালতে বাদীর এক নিকট আত্মীয় বলেছেন সিলেটের জালালাবাদ থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন আমার বোন এসব জানান সাংবাদিকদের তবে সাংবাদিকদের আরোও বলেন আমরা জালালাবাদ থানা সহ সিলেট এস এমপির কোন থানায় সহযোগিতা পাচ্ছিনা উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে আমাদের কাছে মনে হচ্ছে থানা গুলো যেন নজরুল ইসলাম বাবুলের কেনা হয়ে গেছে।

সেই মামলায় ভুক্তভোগি নারীর মেডিকেল পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন গত ০৩/০৭-ইং বাদীনির মামলা নং জালালাবাদ থানা জি আর ১০/ ১৬১/ ২০২২। তবে কেনো ৯ দিনেও আসামী ধরতে জালালাবাদ থানা পুলিশ ব্যর্থ? এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য উঠে এসেছে দায়িত্বরত পুলিশদের ঘুষ বাণিজ্যের কথা বিবাদীর কাছে থেকে ঘুষ বাণিজ্য।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ভুক্তভোগী একজন নারী উদ্যোক্তা সফল ব্যবসায়ী তার স্বামী নজরুল ইসলাম ফিজা বাবুলের নির্যাতনের শিকার হয়ে স্বামী সংসার ফিরে পেতে পূর্বের পরিচিত তার স্বামীর সহযোগীদের সহযোগিতা কামনা করে,ঘটনার দিন ভুক্তভোগী ঢাকা থেকে সিলেট আসে সহযোগিতার বদলে উল্টো ধর্ষণের শিকার হয় জায়েদা আক্তার শান্তা তার স্বামীর সহযোগী কর্মচারীদের হাতে।

উল্লেখিত ০৩ আসামির প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় নানা ছলছুতোয় আসামীদের গাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং গোপনে ধারণকৃত ভিডিও ভাইরাল করা হবে জানান ধর্ষকরা।

ঘটনার ৫/৬ দিন আগে ভুক্তভোগী জায়েদা আক্তার শান্তা স্বামীর সংসারও ৮ বছরের ছেলে সন্তান এবং তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক নেতাদের স্মারকলিপি দিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে এরপরেও কোনো সুরাহা পাননি জায়েদা আক্তার শান্তা।

ভুক্তভোগী জায়েদা আক্তার শান্তার পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় ও বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

বার্তা প্রেরক ভুক্তভোগী পরিবার….

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
এই ওয়েবসাইটের লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com